সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ৩৫ হাজারের মতো সদস্য পদ সংগ্রহ হয়েছে। চলতি মাস শেষ হতে আর দু’সপ্তাহও বাকি নেই। টার্গেট যে পূরণ করা যাবে না, তা ঘরোয়া আলোচনাতেও কবুল করেছে নেতৃত্ব। তবে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে তাঁরা নারাজ।
তারজন্যই কি অভিযানে গতি আনতে দলীয় কর্মীদের পুরস্কারের টোপ দেওয়া হচ্ছে? বিজেপির জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গা অবশ্য সে কথা মানতে নারাজ। মনোজ বলেন, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি নেই একথা সঠিক নয়। আসলে সদস্য সংগ্রহের কাজে উৎসাহ দিতেই কর্মীদের পুরস্কার দেওয়া হবে। চলতি মাস শেষ হতে এখনও প্রায় ১০দিন বাকি। আশা করছি, তার আগেই জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব আমরা।
সদস্য সংগ্রহের কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে কর্মীদের কি পুরস্কার দেওয়া হবে? মনোজ বলেন, সেটা এখনই বলা যাবে না। সদস্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলেই সেটা জানা যাবে।
বিজেপি নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন চলতি মাসে দু’লক্ষ সদস্য সংগ্রহ কার্যত অসম্ভব। কেন না বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মাত্র ৩৫ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্য সংগ্রহে সবচেয়ে খারাপ হাল খোদ দলের জেলা সভাপতির প্রাক্তন বিধানসভা এলাকা মাদারিহাটেই। সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯০০’র মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তারপরই খারাপ হাল কালচিনি বিধানসভা এলাকার। সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র চার হাজারের মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে।
সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি না থাকার পিছনে বিজেপি নেতৃত্বের সাফাই, সদস্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে অনলাইনে। কিন্তু, চা বাগানের শ্রমিকরা অনলাইন সিস্টেমে ততটা সড়গড় নয়। সেজন্য এই অসুবিধা হচ্ছে। অন্যদিকে, মাদারিহাট বিধানসভায় দলের সদস্যপদ সংগ্রহের এই হাল নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই বিধানসভায় উপ নির্বাচন ছিল। ব্যস্ততার কারণেই সেখানে সদস্য সংগ্রহের কাজে গতি আসেনি।