সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
অটো চালকদের দাবি, ই-রিকশ চলাচল নিয়ে বারবার আপত্তি জানানো হলেও পরিবহণ দপ্তর কিছু করছে না। উল্টো অটো চালকদের নানা অজুহাতে মোটা টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে এদিন অটো চালানো বন্ধ রেখে শহরে তাঁরা মিছিল করেন। এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
মাথাভাঙা থেকে হাজরাহাট, শীতলকুচি, নয়ারহাট, কুর্শামারি, ঘোকসারডাঙা, নিশিগঞ্জ সহ বিভিন্ন রুটে অটো পরিষেবা বন্ধ থাকে এদিন। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাওয়ার জন্য রাস্তায় এসে অটো না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। নিশিগঞ্জে অফিসে যাওয়ার জন্য মাথাভাঙা স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেছিলেন আনোয়ার মিয়াঁ। তিনি বলেন, অগ্রিম কিছু না জানিয়ে পরিষেবা বন্ধ করে রাখায় এখন বাড়তি টাকা খরচ করে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।
ই-রিকশ করে যাওয়া যায়। কিন্তু রাজ্য সড়কে ই-রিকশর থেকে টোটোয় ওঠা অনেক বেশি নিরাপদ। তাই অটো করেই রোজ শীতলকুচি কলেজ যাই জানান ছাত্রী পারমিতা বর্মন। তিনি এদিন বাধ্য হয়ে ই-রিকশ করে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা হন। দুর্ভোগ হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন কমবেশি সকলেই।
প্রসঙ্গত, মাথাভাঙা মহকুমার বিভিন্ন রুটে ই-রিকশ চালক ও অটো চালকদের টানাপোড়েন অনেকদিনের। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও অতীতে হয়েছে। প্রশাসন ও পরিবহণ দপ্তর দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করার পরও সমস্যা মেটেনি। অটো চালকদের পক্ষে আমির হোসেন বলেন, আমরা সরকারকে রোড ট্যাক্স দিই। নিয়ম মেনে রুটে গাড়ি চালাই। ই-রিকশর কোনও অনুমতি নেই। রাজ্য ও জাতীয় সড়কে ওরা গাড়ি চালাতে পারে না। ওদের জন্য আমরা ব্যবসায় মার খাচ্ছি। পরিবহণ দপ্তরকে জানানো হলেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিন অটো চালানো বন্ধ রেখে এসডিও’কে স্মারকলিপি দিয়েছি।
এক ই-রিকশ চালক জানিয়েছেন, প্রশাসন নির্দিষ্টভাবে কোনও রুট নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই সব রুটেই ই-রিকশ চলানো হচ্ছে। রুট ভাগ করে দিলে তখন দেখা যাবে। মাথাভাঙার এআরটিও দেবীপ্রসাদ শর্মা বলেন, ই-রিকশ চালক ও অটো চালকদের নিয়ে আগেও আমরা একাধিকবার আলোচনা করেছি। ফের দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। নিয়ম মেনেই জরিমানা করা হয়।
(দাবিপত্র হাতে অটোচালকরা। - নিজস্ব চিত্র।)