শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
পুজো কমিটির সভাপতি অরূপ দাস, যুগ্ম সম্পাদক মানস সরকার এবং কৌশিক দাস জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আমাদের চারপাশের পরিবেশে। বিপন্ন হচ্ছে গাছপালা থেকে পাখিরাও। এই বিপন্নপ্রায় বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ নিয়ে নাগরিক সমাজকে সচেতন করতেই এই থিম বেছে নিয়েছি আমরা।
তাঁরা বলেন, আমাদের থিম ‘সভ্যতা ও শক্তিস্বরূপা।’ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কৃষ্ণকালীতলা কল্যাণ সমিতি ও গ্রন্থাগারের প্রতিমা তৈরি করছেন ক্লাবেরই সদস্য দিব্যেন্দু সাহা। মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অপর এক ক্লাব সদস্য বুবাই দাস। দিব্যেন্দুবাবু বলেন, আমাদের প্রতিমার নির্মাণ শৈলী এবার বৈচিত্র্যময়। প্রকৃতির দূষণে শুকিয়ে যাওয়া বৃক্ষের আদলে নির্মিত হচ্ছে আমাদের প্রতিমা। পরিবেশ দূষণ ও অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে আক্রান্ত পশুপাখিদের আশ্রয়দাত্রী হিসেবে মা আসছেন আমাদের মণ্ডপে।
পরিবেশবান্ধব পদার্থ দিয়ে তৈরি মণ্ডপসজ্জায় ফুটে উঠেছে কীভাবে নগরায়নের প্রকোপে আক্রান্ত হচ্ছে পশুপাখিরা। তারাই শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন বরাভয়দাত্রী মা দুর্গার স্নেহচ্ছায়ায়।
যুগ্ম সম্পাদক মানস সরকার বলেন, এবার তাঁদের পুজোর বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। ক্লাব সভাপতি অরূপবাবু বলেন, আমাদের পুজো দু’বার বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পেয়েছে।
এই পুজোর উদ্বোধন হবে চতুর্থীর দিন। ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ছাড়াও জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উদ্বোধনে। যুগ্ম সম্পাদক কৌশিক বিশ্বাস বলেন, পুজোর মধ্যে আমরা পাড়ার সকলে মিলে পংক্তি ভোজন সারি। সব মিলিয়ে এই পুজো আমাদের হাতে হাত ধরে থাকার উৎসব।