শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে কয়েকদিন ধরে চরম বিপদসীমা ছাড়িয়ে বইছে গঙ্গা। জলের তলায় ডুবে ভূতনির তিন তিনটি অঞ্চল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টায় মানিকচক ঘাটে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.৩০ মিটার। ফের জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। কয়েকদিন টানা বৃষ্টির পর আরও কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, এবার তাঁদেরও একই অবস্থা হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে তাই বোধনের আগেই যেন বিসর্জনের সুর প্লাবিত হীরানন্দপুরে।
ভূতনির হীরানন্দপুর অঞ্চলের আমতলা নন্দীটোলা দুর্গোৎসব কমিটির সদস্য রাজেশ মণ্ডল বলেন, আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে জল নেমে যাবে। নাহলে অন্যত্র মা দুর্গার প্রতিমা নিয়ে গিয়ে পুজো করা হবে। কারণ এই মুহূর্তে মায়ের পুজোর যে বেদি রয়েছে, তার এক ফুট ওপর দিয়ে জল বইছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মণ্ডপ তৈরির কাজও থমকে। জলস্তর স্বাভাবিক হওয়ার পরও গঙ্গা যে এভাবে ফুলেফেঁপে উঠবে, বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। দেখা যাচ্ছে, প্রথমবারের চেয়েও বেশি জল ঢুকেছে গ্রামে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মোট নয়টি পুজো কমিটি আছে। প্রত্যেকটি এখন জলের তলায়। এছাড়া এই অঞ্চলে বেশকিছু বাড়িতে দুর্গাপুজো করা হয়। এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে এক কোমর জল হওয়ায় সেই সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে।
হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডলের কথায়, আমাদের গ্রামে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই অবস্থায় এবছর দুর্গাপুজো কীভাবে হবে জানি না। জল কমলে হয়তো আয়োজন করা যেত, কিন্তু মণ্ডপটাই এখন জলের তলায়। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ম মেনে পুজোটুকু করা হবে। কারণ মা দুর্গার পুজো তো আর বন্ধ রাখা যায় না।
এই এলাকায় দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রায় সাতদিন বিশাল মেলা বসে। গ্রামে এবছর যেভাবে গঙ্গার জল ঢুকে গিয়েছে, তাতে আনন্দ করার মতো পরিস্থিতি নেই।
গ্রামের যুবক সনাতন বিশ্বাস বলেন, পুজো হলে আনন্দ হতো ঠিকই। কিন্তু এখন জল নেমে গেলেই সবথেকে বেশি খুশি হবেন বাসিন্দারা। কিন্তু সেরকম লক্ষণ এখনও দেখছি না। সবাই যখন পুজোয় আনন্দ করবে, আমরা প্রহর গুনব কখন জল নামে। জলমগ্ন ভূতনির গৌরাঙ্গটোলা দুর্গোৎসব কমিটির মন্দির চত্বর। - নিজস্ব চিত্র।