শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
রায়গঞ্জের কুমোরটুলি হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপল্লীতে শুক্রবার দেখা গেল বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে প্রতিমাগুলিকে অতি যত্নে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এছাড়া ত্রিপলের ছাউনি করে প্রতিমা ব্লোয়ার দিয়ে শুকিয়ে রং করার কাজ করছেন অনেক শিল্পী। তাঁদের অনেকে জানালেন, এখনও প্রতিমার চোখ আঁকা হয়নি। প্রতিমা ভিজে গেলে চোখ আঁকতে সমস্যা হবে। এভাবে টানা বৃষ্টি চললে ঠিক সময়ে ক্লাবগুলিকে প্রতিমা দিতে পারবেন কি না চিন্তা হচ্ছে।
মৃৎশিল্পী ভানু পালের কথায়, এই সময় সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা থাকে। যে প্রতিমাগুলি বানানো হয়েছে, সেগুলিতে রং করার তোড়জোড় শুরু হয়। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার ফলে প্রতিমা নরম হয়ে যাওয়ায় কাজ করতে পারছি না। ব্লু ফ্লেম কিংবা গ্যাস বার্নার দিয়ে প্রতিমা শুকোনোর কাজ চলছে। কিছু প্রতিমায় রং করে ফেলেছি। তবে যেসব শিল্পীরা মাটি মাখানোর কাজ করছেন, তাঁদের কাছে বড় বিপদ এই বৃষ্টি।
প্রতিবছর এই সময় বৃষ্টি অসুরের ভূমিকা নেয় বলে জানালেন মৃৎশিল্পী প্রেমানন্দ পাল। তাঁর মন্তব্য, রাস্তার ধারে প্রতিমা শুকোতে দিতাম। বৃষ্টির জন্য কয়েকদিন সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া কারখানায় জায়গা কম থাকলে রাস্তার পাশে প্রতিমা বানানোর কাজ চলে, সেটাও অনেক শিল্পী করতে পারছেন না।
মৃৎশিল্পীদের এই সমস্যার মাঝে এখনই দুর্যোগ কাটার মতো আশার কথা শোনাতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। নিম্নচাপের জেরে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর আবহওয়া কিছুটা পরিবর্তন হলেও মহালয়ার পর ফের বৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিমা তৈরি করতে দেরি হওয়া নিয়ে চিন্তা বাড়ছে পুজো উদ্যোক্তাদেরও। শহরের অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সম্রাট বোস বললেন, ক্লাবেই প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে। জল, কাদার মধ্যেই সবকিছু করতে হচ্ছে। একবার রং করা হলেও বৃষ্টির জন্য আরেকবার করতে হবে। নিজস্ব চিত্র।