শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ দুই যুবকের নাম পরিমল মণ্ডল (২২) ও বঙ্কিম মণ্ডল (১৮)। সম্পর্কে দুই ভাই ভূতনি থানার শঙ্করটোলার বাসিন্দা। এদিন দুপুরে পাট ছাড়িয়ে টিনের নৌকায় করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। ঝোড়ো হাওয়ায় নৌকা উল্টে তলিয়ে যান দু’জন।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া এলাকা বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করল রাজ্যের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্ব দেন রাজ্য কৃষি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মিনা। সঙ্গে ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তা ডাঃ দীপঙ্কর মাঝি, সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এবং সচিব, ডব্লিউবিআরআইডিডি দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
এদিন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলে সব শুনেছি। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন, প্রশাসন সবটাই করছে। এখানে কিছু বলব না। রিপোর্ট ঠিক জায়গায় দেওয়া হবে।
এদিন মিনার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ গঙ্গার মানিকচক ঘাটে পৌঁছয়। গঙ্গার জলস্তর দেখার পর মানিকচক ঘাটে নারায়ণপুর এলাকার আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। দুর্গতদের মুখ থেকে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সমস্ত অভাব, অভিযোগ শোনার পর ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। সেখান থেকে মথুরাপুরে মানিকচক মডেল স্কুল পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধি দল। স্কুলের হস্টেলে উত্তর চণ্ডীপুরের প্রায় একশোটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদিন সেখানকার দুর্গতরা পরিদর্শক দলের কাছে বলেন,আমরা এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের কাপড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের তরফে মহিলাদের জন্য একটি করে শাড়ি এবং বাচ্চাদের জামা, প্যান্টের বন্দোবস্ত করা হয়।
মডেল স্কুলের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন গর্ভবতীর সঙ্গে কথা বলে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং কাছাকাছি কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য সিএমওএইচকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর সোজা ভূতনি সেতুতে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভূতনি সেতু থেকে নৌকা করে প্রথমে দক্ষিণ চণ্ডীপুর অঞ্চলে জলের তলায় থাকা শংকরটোলা এবং পরে কাটা বাঁধ পরিদর্শন করে রাজ্যের প্রতিনিধি দল। এই বাঁধের একশো মিটার অংশ দিয়েই অত্যন্ত ধীরগতিতে গঙ্গার জল ফুলহার নদীতে গিয়ে পড়ছে। এই বাঁধের ওপরেও কয়েকটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদিন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জেলা প্রশাসনকে বাঁধের কাটা অংশ সংস্কারের নির্দেশ দেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।
এদিন বিকেলে গঙ্গার জলে প্লাবিত ভূতনি এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে মানিকচক বিডিও অফিসে আসেন তাঁরা। সেখানে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, ডিএম, এসপি, সিএমওএইচ ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। নিজস্ব চিত্র।