শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ওই ওয়ার্ক অর্ডারের কপি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল শোরগোল মালবাজার শহরে। ওই ওয়ার্ক অর্ডারে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি হাইমাস্টের জন্য খরচ ধরা হয় ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৫৪ টাকা। ১৫টি হাইমাস্টের বরাত দেওয়া হয়। ফলে মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৪ লক্ষের কিছু বেশি। চাপে পড়ে চেয়ারম্যান স্বপন সাহার সাফাই ,ওই ওয়ার্ক অর্ডার ভুয়ো। আমার সই জাল করে সেটি বানানো হয়। ওই ওয়ার্ক অর্ডারের প্রেক্ষিতে কোনও কাজ হয়নি। টাকাও খরচ হয়নি।
চেয়ারম্যানের বক্তব্য অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার পুলিন গোলদার ও অজয় লোহার। বৃহস্পতিবার অজয়বাবু বলেন, কাউন্সিলারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই ওয়ার্ক অর্ডার পোস্ট করার পর চেয়ারম্যানের এক ‘কাছের লোক’ জানান, সেটি ভুয়ো। তখন বলা হয়, তাহলে চেয়ারম্যান পুলিসে অভিযোগ দায়ের করুন। আজও এফআইআর হয়নি। তাঁর দাবি, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই কাজ পেতে বরাত পাওয়া সংস্থাটি নাকি পাঁচ লক্ষ টাকা কাটমানি দিয়েছিল। কিন্তু, শেষপর্যন্ত কাজ পায়নি। চেয়ারম্যান অবশ্য গোটা বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেছেন।
পুরসভার প্যাডে লিখে এভাবে যে কাজের বরাত দেওয়া যায় না তা স্বীকার করে নিচ্ছেন তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ী। তাহলে কেন এতদিন বিষয়টি নিয়ে চুপ করে ছিলেন? উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখিনি। শুনেছিলাম। আর কিছু ক্ষেত্রে তো প্রতিবাদ করেছি। এটুকু বলতে পারি, এভাবে প্যাডে লিখে কাজের বরাত দেওয়া যায় না।
এদিকে, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিন সপ্তাহের মধ্যে ঠিকাদারের বকেয়া বিল মেটাতে পারল না মাল পুরসভা। বৃহস্পতিবার বকেয়া বিলের জন্য পুরসভায় হাজির হন ঠিকাদার শিবরতন আগরওয়াল। তিনি বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর আদালত নির্দেশ দেয়, তিন সপ্তাহের মধ্যে আমার কাজের বিল যেন মেটানো হয়। সেইমতো গিয়েছিলাম। ওরা পেমেন্টের জন্য সময় চাইছে। বিষয়টি আদালতকে জানাব। ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার বিষয়। আমরা ওই ঠিকাদারের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছি। পুরসভার প্যাডে লেখা বিতর্কিত সেই ওয়ার্ক অর্ডার। - নিজস্ব চিত্র।