শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
মৃতের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, সিঁধ খুঁড়ে ঘরে ঢুকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় অশ্বনীকে। মৃতের বাড়ি জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭২ নম্বর ঠুনকিরঝাড়ের বসুনিয়ারবাড়ি এলাকায়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিস বাহিনী পৌঁছয়। আসেন মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মণিভূষণ সরকার। ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা। পুলিস বাড়ি থেকে প্রায় ২৫-৩০ মিটার দূরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। পুলিস জানিয়েছে, প্রতিমা তৈরির অস্থায়ী তাঁবুর নিচে দেহ পড়েছিল। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিস পাঠিয়েছে।
মৃতের বিধবা মা মিনা বর্মনের দাবি, কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে দু’জন রাতে এসেছিল। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ছেলেকে টেনেহিঁচড়ে ওরা অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। আমি অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। ছেলের চিৎকার শুনে ওর কাছে ছুটে যাই। কিন্তু,ততক্ষণে সব শেষ। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে নৃশংসভাবে ছেলেকে মারা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোররাতে। নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি আর এক বিবাহিতা মহিলাকে ঘরে তুলে এনেছিলেন মৃত যুবক। যদিও নিজের স্ত্রী তাঁর কাছে থাকেন না। স্বামীকে ছেড়ে অন্যত্র সংসার পেতেছেন। প্রথম পক্ষের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে অশ্বনী বর্মনের। ঘটনার আকস্মিকতায় এলাকার বাসিন্দারা হতভম্ব। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খুন হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই যুবক ওই মহিলার সঙ্গেই ছিলেন। একমাস ধরে তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর মতোই ঘর-সংসার করছিলেন। বৃহস্পতিবারই তাঁদের সামাজিক মতে বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু, আগের রাতেই প্রাণ হারাতে হল ওই যুবককে। পরকীয়া সম্পর্কই যুবকের জীবনে ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনল বলে প্রতিবেশীদের ধারণা।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি খুনেরই ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, সেটা দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিশদে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, ঘটনার প্রেক্ষিতে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস এক মহিলাকে আটক করেছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে।