বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
অভিযোগ, মাসের পর মাস পঞ্চায়েত অফিসে আসছেন না প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের পাপিয়া রায় বর্মন। তার ফলে ১০০ দিনের কাজ সহ এনআরইজিএস প্রকল্পের আট কোটি ও চতুর্দশ অর্থ কমিশনের এক কোটি টাকা পড়ে থাকলেও কাজ করা যাচ্ছে না। লকডাউনের ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে ফিরেছেন। গ্রামে ফেরা ওই শ্রমিকরা সহ এলাকার গরিব মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে অন্যান্য কাজে প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়। এদিন তাই ক্ষুব্ধ মহিলারা ঝাঁটা হাতে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান ও উপপ্রধান অফিসে না আসায় নয় কোটি টাকার কাজ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া নানা কাজে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন প্রধান অফিসে না যাওয়ায় দিনহাটার সীমান্ত এলাকার এই গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে ফিরে ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। এরে জেরে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা অনীতা বর্মন, সরিনা বিবি, বাসন্তী নারায়ণ বলেন, গ্রামে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। গ্রামের মানুষ কাজ খুঁজছে। তাদের কাজের ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগী না হয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে প্রধান বাড়িতে বসে থাকলেও অফিসে আসছেন না। অঞ্চলে না এসে এলাকার উন্নয়নের কাজ আটকে রেখেছেন। আমরা কাজ চাই। তিনি যদি অঞ্চল চালাতে না পারেন তাহলে পদ থেকে ইস্তফা দিন।
প্রধান পাপিয়া বর্মন রায় বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। ১০০ দিনের কাজ চলছে। লকডাউনের আগেও আমি অফিসে গিয়েছি। মাঝে কিছুদিন যাইনি। কিন্তু বাড়ি থেকে সমস্ত কাজ করেছি। অনেক দিন থেকেই আমাকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এদিনও আমার পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা পুলিসকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমি যাতে যেতে না পারি সেজন্য পরিকল্পনা করে এই বিক্ষোভ করা হয়েছে। পুরোটাই চক্রান্ত। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ফলে বাইরের রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে এলাকার বহু শ্রমিক নিজ নিজ গ্রামে ফিরেছেন। নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কোন্দলের জন্য ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য উন্নয়ন মূলক কাজ বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রামে ফেরা শ্রমিকরা। যার জেরে আনেক দিন থেকেই বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।