ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
নীহারবাবু বলেন, শহরের রাস্তাঘাট এবং নিকাশি নালা বেহাল হয়ে রয়েছে। কাউন্সিলার এবং বাসিন্দারা আমাদের কাছে বারবার এনিয়ে তদ্বির করেছেন। নিকাশি নালা ও রাস্তা সংস্কারের জন্য ২৯টি ওয়ার্ডকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১০টি ওয়ার্ডে বেশি কাজের প্রয়োজন। ওইসব ওয়ার্ড পিছু ৪০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হবে। বাকি ১৯টি ওয়ার্ডকে ৩০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। দুটি ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তা অনেক সময় কাউন্সিলাররা বরাদ্দকৃত অর্থে মেরামত করতে চান না। আমার তত্ত্বাবধানে ওইসব রাস্তা মেরামত করা হবে। তারজন্য পাঁচ কোটি টাকার সংস্থান করা হয়েছে। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি আলো লাগানো এবং মেরামতের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর অল্প বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের জল বের হওয়ার ব্যবস্থা ঠিকঠাক গড়ে না ওঠার কারণে এই সমস্যা হয়। ওই পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে দুই কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। বর্ষার আগে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হবে। পুরসভা থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড দূরে থাকায় ওয়ার্ড জঞ্জাল তুলতে দেরি হচ্ছে। মহদিপুরে আমাদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। ফলে জঞ্জালবহনকারী গাড়ির যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সেই কারণে শহরের ছ’টি জায়গায় জঞ্জাল ডাঁই করে রাখার জন্য ব্যবস্থা হয়েছে। সেইসব জায়গার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের পাইপলাইন পাতা সহ অন্যান্য কাজের জন্য রেলের জায়গা প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছিল। জট কাটাতে এদিন রেলের আধিকারিক এবং আমাদের নিয়ে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বৈঠক করেন।
নীহারবাবু আরও বলেন, ৬১ বছর বা তার বেশি বয়সি শহরবাসীর জন্য আমরা বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করতে চলেছি। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাড়ি ব্যবহার করেন না, এমন বয়স্ক নাগরিকদের গৃহ কর মকুব করা হবে। তবে কেউ বাড়ি ভাড়া দিলে এই সুযোগ পাবেন না। ১০০ টাকার কম কর দেন এমন নাগরিকও এই সুযোগ পাবেন না। দ্রুত আমরা বোর্ড মিটিং ডাকব।
এদিকে, এদিনের বৈঠকে চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) সহ সিআইসির বাকি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এক সিআইসি সদস্য বলেন, এদিনের বৈঠকে কোনও বিতর্ক হয়নি। কোনও বিষয় নিয়ে কেউ আপত্তিও তোলেননি। তবে সিআইসি বৈঠকের রেজল্যুশন তৈরীর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বোর্ড মিটিং ডাকতে হবে। ওই বৈঠক সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষে কার্যত চ্যালেঞ্জ।