পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এবিষয়ে সৌমিত্রবাবু বলেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনিয়মের অভিযোগ ছিল। স্কুল পরিদর্শকের অফিসে সেবিষয়টি নিয়েই শুনানি ছিল। সেই শুনানি শেষ করে যখন বাড়ি ফিরছিলাম তখন রথবাড়িতে ওই প্রধান শিক্ষক আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। আমাকে মারধর করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছি। এখনও আমি পুরোপুরি সুস্থ নই। এব্যাপারে আমি ইংলিশবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে। এবিষয়ে বড়কল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম রজক বলেন, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে মারধর করা হয়েছে শুনে শুক্রবারই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যাই। তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। এধরনের ঘটনা দুঃখজনক।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুনীতি সাঁপুই বলেন, শুক্রবার আমার অফিসে একটি শুনানি ছিল। আদিনা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমিত্রবাবু সেই শুনানি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে টোটো থেকে নামিয়ে তাঁকে প্রধান শিক্ষক রাজিব ঝা মারধর করেছেন বলে তিনি মৌখিকভাবে আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। মারধরের বিষয়টি পুলিস দেখছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয়ভাবে আমরাও পদক্ষেপ নেব।
এবিষয়ে বড়কল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজীব ঝা বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে আমি কী করে মারধর করতে পারি? তিনি টোটো থেকে নামার পর আমি তাঁর সঙ্গে ভালোভাবেই কথা বলেছি। পরে কী হয়েছে তা জানি না।
এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইনুল হক বলেন, বড়কল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছে বলে শুনেছি। তবে তাকে কেন্দ্র করে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ইংলিশবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, এব্যাপারে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস তদন্ত করছে।
সারা বাংলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সুধীরঞ্জন মিশ্র বলেন, শিক্ষক হয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিককে মারধর করা কখনই কাম্য নয়। তবে যেহেতু পুরো ঘটনা আমার জানা নেই তাই এর চাইতে বেশি মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, পুরাতন মালদহ ব্লকের বড়কল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি মিড ডে মিলের সবজি নিয়ে অভিযোগ তুলে স্কুলেরই এক শিক্ষক ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। সে নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। এদিন সেই ঘটনারই শুনানি ছিল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে।