পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
গৌতমবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি আবাসনমন্ত্রী, দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এখানে এসেছিলেন। তখন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। জমি সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদিন এলাকায় আসি। কিন্তু দেখছি কিছু জমি জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ওসব জমি আমরা পর্যায়ক্রমে পুনরুদ্ধার করে সেখানে আবাসন সহ অন্যান্য প্রকল্প করব। সরকারি জমিদখল আমরা আর বরদাস্ত করব না। পুনর্বাসন পাওয়ার পরেও যারা জমি দখল করে বাড়িঘর বানাচ্ছে তাদের উৎখাত করব। ওসব ঘর ভেঙে দেব। কারও কোনও কথা শুনব না। অনেক শুনেছি, এবার বুলডোজার চালিয়ে ওসব গুঁড়িয়ে দেব। ওদের ধরে জেলে ঢোকাবো।
মন্ত্রী এদিন আবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে তাঁর বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়ির বিভিন্ন প্লট ঘুরে দেখেন। কয়েকটি এলাকায় সরকারি সম্পত্তি দখল হয়ে গিয়েছে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সেখানে যারা বাড়ি বানিয়েছিলেন তাদের ডেকে এনে রীতিমতো বকাঝকা করেন। জায়গা দ্রুত খালি করতে নির্দেশ দেন। আবাসন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার প্রায় ৭৫২ একর জমি বামেদের সময়ে প্রকল্প গড়ার জন্য চিহ্নিত করে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েই ওসব জমি সরকার সেসময়ে নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ওসব জমিতে আর প্রকল্প গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় থাকায় অনেক জায়গাতেই ওসব জমি দখল হয়ে গিয়েছে। এবার সেই জমিই পুনরুদ্ধারে নেমেছে বর্তমান তৃণমূল সরকার।
আবাসন দপ্তর স্থির করেছে শহরের মধ্যে এবং শহর সংলগ্ন যেসব এলাকায় সরকারি জমি আছে সেখানে দপ্তর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাযুক্ত আবাসন বানিয়ে বিক্রি করবে। সেই লক্ষ্যেই নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় আবাসনমন্ত্রী বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন সহ আবাসন দপ্তরের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আধিকারিক, নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকতেই এই সরকারি জমি জবরদখলের ঘটনা বেশি রয়েছে। সেখানে জমি মাফিয়াচক্র গড়ে উঠেছে। একই জমি একাধিকবার বিক্রির চক্র ওই এলাকাতেই আছে। অতীতে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর পুলিস বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ডাবগ্রাম, ফুলবাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ওই চক্র এখনও পুরোপুরি ভেঙে দিতে পারেনি পুলিস।