শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
তিনি জানান, ২০১৩ সালে প্রথম লুনা তৈরির পরিকল্পনা হয়। সেই সময় ঠিক হয়েছিল, এক হাজার বর্গমিটার এলাকায় এই কৃত্রিম চাঁদের পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। কিন্তু পরে তা ৭০০ বর্গমিটার এলাকায় তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চাঁদের রুক্ষ, পাথুরে ও ধুলোয় ভরা পরিবেশ তৈরির জন্য ৯০০ টন নুড়িপাথর (রেগোলিথ) ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লুনা ফেসিলিটির ইঞ্জিনিয়া জুয়েরগেন সুলজ। চাঁদের ধুলো তৈরির জন্য আইফেল অঞ্চলের ৪.৫ কোটি বছরের পুরনো আগ্নেয় পাথর নিয়ে আসা হয়। শুধু চাঁদের ভূস্তর তৈরি করাই নয়, চাঁদে যেভাবে দিন-রাত হয়, তাও তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছ’ভাগের একভাগ। লুনা ফেসিলিটিতেও একই মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনুভব করা যাবে। সুলজ জানান, চাঁদে গিয়ে মহাকাশচারীরা যাতে বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারেন ও নমুনা নিয়ে আসতে পারেন, তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে লুনায়।
যদিও এতেই থেমে থাকতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। লুনার পর এবার ফিউচার লুনার এক্সপ্লোরেশন হ্যাবিট্যাট (ফ্লেক্সহ্যাব) তৈরির কাজ চলছে। এতে চাঁদের পরিবেশে বসবাস করা যেতে পারে কি না, তা নিয়ে পরীক্ষা চালানো হবে। চাঁদে স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করছে নাসা। ফ্লেক্সহ্যাব তৈরি হলে চাঁদের মাটিতে গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে চাষ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও গবেষণা চালানো যাবে।