পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বৃদ্ধি করে শুক্রবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। তারপর এদিন সকাল থেকেই শুরু চোখ রাঙানি। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পুদুচেরি উপকূলে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির স্থলভাগ অতিক্রম করতে অর্থাৎ ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা সময় লাগে। এইসময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। এই পরিস্থিতিতে চেন্নাই, তিরুবাল্লুর, কাড্ডালোর, বিল্লুপুরম, কাল্লাকুরিচি সহ একাধিক উপকূলবর্তী জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র। শহরের একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে ব্যাহত যান চলাচল। ক্রোমপেটের দুটি সরকারি হাসপাতালে জল ঢুকে গিয়েছে। জলমগ্ন হস্তিনাপুরম সহ বেশ কয়েকটি জায়গাও। এহেন পরিস্থিতিতে ফ্লাইওভার ও তার নিচের জায়গাগুলিতে গাড়ি পার্কিং করেছেন মানুষজন। এপর্যন্ত চেন্নাইয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, বৃষ্টির মধ্যে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ওই পরিযায়ী শ্রমিক।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। উপকূলীয় জেলাগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলায় জেলায় অসংখ্য ত্রাণ শিবির খুলেছে তামিলনাড়ু সরকার। বিশেষ করে নিচু এলাকা থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন জানিয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রায় ২২ হাজার কর্মী মোতায়েন হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। উল্লেখ্য, ফেনজলের তেমন প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গে। এদিন আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি হালকা বৃষ্টি হয়েছে।