পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
দেশের দুই প্রান্তে এদিন দু’টি বৈঠক হয়েছে। প্রথমটি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রাজ্যের সড়ক উন্নয়নের সমীক্ষা। অন্য বৈঠকটি হয়েছে বিহারে। পূর্ব ভারতের চার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং বিহারের রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্ক সেক্টরের কাজকর্মের খতিয়ান নিয়ে। এই দুই বৈঠকের প্রাসঙ্গিকতা হল, কেন্দ্রের কাছ থেকে কল্পতরুর মতো সহায়তা পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। আর পূর্ব ভারত সার্বিকভাবে বঞ্চিত। কিন্তু বৈঠকে সীতারামন ভূয়সী প্রশংসা করলেন সেই পূর্ব ভারতেরই।
স্বনিযুক্তি প্রকল্পে মহিলাদের সাফল্য চমকপ্রদ। আর সেই প্রকল্প চলেই প্রধানত গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ঋণে। তাই আরও বেশি আর্থিক সহায়তা দিতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু জিডিপি বৃদ্ধিহারের মাপকাঠিতে চার গরিব রাজ্যের গ্রামাঞ্চল যদি এভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বার্তা দেয়, তাহলে প্রতিদান হিসেবে তারা কী পাচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে। বিগত ১০ বছরে পূর্ব ভারত নিয়ে শুধুই বাজেট ঘোষণা হয়েছে। বাস্তবে কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনও নজির দেখা যায়নি। বিধানসভা অথবা লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে কর্ণাটক, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায় হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করেছেন মোদি। কিন্তু পূর্ব ভারত সেই বিশেষ সহায়তা পায়নি। ব্যতিক্রম কিছুটা বিহার। কারণ, সরকার চালানোর জন্য নীতীশ কুমারের সমর্থন জরুরি। তাই লোকসভা ভোটের পর বাজেটে বিহারের জন্য দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্যাকেজ ও প্রকল্প।
অথচ বাংলার বঞ্চনার অবসান ঘটছে না। বরং বাড়ছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রবণতা ছিল বাংলাকে কোনও প্রকল্প দেওয়া হবে না। আর তারপর থেকে একদিকে যেমন উন্নয়নের অংশ পাচ্ছে না বাংলা, তেমনই আবার কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দও আটকে রাখা হচ্ছে একের পর এক প্রকল্পে। বিহারের বৈঠকে নির্মলা সীতারামন বাংলা থেকে মুনাফা পেয়ে সন্তুষ্ট। বাংলার বকেয়া নিয়ে নীরবই রইলেন!