পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
এরই মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের নানা ঘটনা সামনে আসছে। এবার হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস। আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে তারা। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করে শনিবার আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের নিন্দা করেন। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ও তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই ঘটনায় ‘নীরব দর্শক’ হয়ে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন হোসাবলে। পাশাপাশি বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের মঙ্গল কামনায় রবিবার সংগঠনের সমস্ত মন্দিরে কীর্তনের আয়োজন করেছে ইসকন।
হিন্দুদের উপর নির্যাতনকে ‘অপপ্রচার’ হিসেবে তুলে ধরতে অবশ্য চেষ্টার কসুর করছে না তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলামের দাবি, বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদ। একটি স্তর থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কিছুদিন বাংলাদেশে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিবৃতি জারি করা উচিত হয়নি বলেও দাবি শফিকুলের। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলির দিকে আঙুল তুলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনও। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যেভাবে প্রচার করছে, তা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয়। শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশের মাটিতেও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া ঢাকা। জেনিভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘে সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামে বাংলাদেশ জানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান লক্ষ্য।