সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
কোপরি-পাচপাখাডিতে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫০৭ ভোটে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন শিবসেনা প্রার্থী (উদ্ধব গোষ্ঠী) কেদার প্রকাশ দিঘে। পুনের বারামতীতে এগিয়ে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন ভাইপো যুগেন্দ্র পাওয়ার। যুগেন্দ্রকে সমর্থন করছে শারদ পাওয়ারের গোষ্ঠী। গণনার শুরু থেকেই তিনি এগিয়ে ছিলেন। তবে বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে সদ্য নিহত এনসিপি নেতা (অজিত গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকি। তাঁর বিরুদ্ধে শিবসেনার (উদ্ধব গোষ্ঠী) টিকিটে লড়ছেন উদ্ধবের ভাইপো বরুণ সরদেশাই। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। পরে তিনি এনসিপিতে (অজিত গোষ্ঠী) যোগ দেন।
পাঁচ মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পাঁচ মাস পর ভোট সমীক্ষকদের একাংশকে ভুল প্রমাণিত করে ফের গড়াল এনডিএর বিজয়রথ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচে জনমুখী ‘লড়কি বহেন’ যোজনা এবারের মহারাষ্ট্রের ভোটে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। মহারাষ্ট্রে এবার বিধানসভা ভোটে অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা বেশি, ৬৫.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে মহিলা ভোটারের হার ৬৫.২১ শতাংশ। ভোটের এই হারেই কিছুটা আত্মবিশ্বাসী ছিল এনডিএ। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ এই স্লোগান দিয়েই মাঠে নেমেছিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রবাসী যে সেই স্লোগানেই স্বীকৃতি দিল, তা ভোটের ফল বেরোনোর পর স্পষ্ট।
মহারাষ্ট্রে ভোটের ফলের যে প্রবণতা, তা থেকে পরিষ্কার যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘মহাযুতি’ জোট ফের একবার সরকার গড়তে চলেছে। জয় নিশ্চিত হতেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গেও। অন্যদিকে, ৫০-এর গণ্ডি কোনওরকমে পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে পর্যদুস্ত হতে হল কংগ্রেস জোটকে।