সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
আরব সাগর তীরে লড়াই এবার দুই শিবিরের। একদিকে কংগ্রেস, উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা, শারদ পাওয়ারের এনসিপি। অন্য পক্ষে বিজেপি, একনাথ সিন্ধের শিবসেনা, অজিত পাওয়ারের এনসিপি। এক্সিট পোলও গেরুয়া শিবিরের পক্ষে। কিন্তু রাজ্যটির নাম মহারাষ্ট্র বলেই নিশ্চিন্ত হতে পারছে না গেরুয়া শিবির। অতএব যে কোনও সময় ক্রাইসিস ম্যানেজারদের মাঠে নামতে হবে, এই নির্দেশ গিয়েছে সব দলের অন্দরে। রাজ্যে কিংবা রাজ্যের বাইরে গেস্টহাউস, রিসর্ট এবং হোটেল গোপনে বুক করে রাখা হয়েছে। চার্টার্ড ফ্লাইট এবং ভলভো বাসও তৈরি, যাতে জয়ী বিধায়কদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় নিরাপদ স্থানে। এবং সেটা এমন জায়গায় যেখানে কোটি কোটি টাকার প্রলোভনের আঁচ পৌঁছতে না পারে।
উভয় শিবির মিলিয়ে ছ’টি রাজনৈতিক দলই যথেষ্ট সংখ্যক আসন দখল করতে পারে, এমন পরিস্থিতি কোনও রাজ্যে দেখা যায় না। ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু দলের গুরুত্ব বাড়বে বা কমবে। আজই প্রমাণিত হবে কে প্রকৃত শিবসেনা? একনাথ সিন্ধে নাকি উদ্ধব থ্যাকারে? কে প্রকৃত এনসিপি? শারদ পাওয়ার নাকি অজিত পাওয়ার? ২০১৯ সালে মধ্যরাতে এনসিপি থেকে অজিত পাওয়ারকে ছিনিয়ে এনে ভোরে সরকার গড়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ফিরে যান কাকা শারদ পাওয়ারের কাছে। পাল্টা চালে উদ্ধব থ্যাকারেকে ছিনিয়ে, সরকার গড়ে বিজেপিকে চমকে দেন শারদ। তা নরেন্দ্র মোদির পক্ষে বিশেষ সুখকরও ছিল না। তাই আড়াই বছরের মধ্যে অপারেশন লোটাস চালিয়ে তিনি ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন শিবসেনা ও এনসিপিকে। কিন্তু চলতি বছর লোকসভা ভোটে এই মহারাষ্ট্রেই সবথেকে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে বিজেপি। তাই এবার সরকার গঠন করার জন্য যে কোনও মূল্যে বিধায়ক চাই। আর সেই লক্ষ্যেই যেন নিলামের তোড়জোড়। ১০০ কোটি টাকা থেকে শুরু!
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের আশঙ্কা, আগামী কাল সকাল থেকেই বিজেপি অপারেশনে নামবে। তাই জোটের জয়ী বিধায়কদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।