সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
নতুন আলু বাজারে বেশি পরিমাণে আসবে জানুয়ারি থেকে। ততদিন যাতে আলুর জোগানের কোনও সমস্যা না-হয় তার জন্য ৩০ নভেম্বরের নির্ধারিত সময়ের পরও কিছুদিন হিমঘরগুলি চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এমন ইঙ্গিত অবশ্য সরকারের দিক থেকেই দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আলুর দাম কমানো নিয়ে আজ, শনিবার হুগলির হরিপালে বৈঠক করবেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। পাশাপাশি খুচরো বাজারে সরকারি নজরদারি চলবে।
বাইরে বেশি পরিমাণে আলু যাওয়ার জন্য দাম বাড়ছে। এই মত মুখ্যমন্ত্রীর। তাই ভিন রাজ্যে আলু ও পেঁয়াজ পাঠানোর উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ চান তিনি। এদিন নবান্নে মুখ্যসচিব, দুই মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও প্রদীপ মজুমদার এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি ও পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ বৈঠক হয়। রাজ্যের মানুষের চাহিদা মেটাতে ভিন রাজ্যে আলু না-পাঠানোর বিষয়ে ব্যবসায়ী ও হিমঘরগুলিকে সরকারের তরফে ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। দিনকয়েকের মধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হলে সরকার এই বিষয়ে আর কোনও বৈঠক চায় না। রাজ্য সীমানার চেক পোস্টগুলিতেই ব্যবস্থা কড়া ব্যবস্থা নেবে।
এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে, এখনও প্রায় ১০ লক্ষ টন আলু হিমঘরগুলিতে আছে। রাজ্যে একমাসে আলুর চাহিদা প্রায় ৫ লক্ষ টন। ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা লালু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, অন্য রাজ্যে বেশি আলু যাচ্ছে না। হিমঘর থেকে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বেরচ্ছে। তাই কলকাতার খুচরো বাজারে তার দাম ৩৪-৩৫ টাকা হওয়া উচিত নয়। টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, একাধিক হাত ঘুরে খুচরো বাজারে পৌঁছনোর পরই আলুর দাম অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। আলুর দাম খুচরো বাজারে কীভাবে আরও কমানো যায়, তা নিয়ে শনিবারের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।