সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
সরকারি সূত্রের খবর, এরকম বিপর্যয় ঘটাতে সক্ষম গোটা দেশে মোট ১৮৯টি লেক চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতীয় হিমালয় এলাকায় মোট প্রায় সাড়ে সাত হাজার লেকের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ১৫০ কোটি টাকার বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ ও অরুণাচল প্রদেশ এই টাকা পাবে। এই খাতে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করা হবে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের জন্য। প্রযুক্তির সাহায্যে বিপর্যয় প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি থাকবে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ারও ব্যবস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ঘটে যাওয়া জিএলওএফের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি সারা পৃথিবীর জন্যই আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিমালয়সহ বড় মাপের পর্বত শ্রেণি এলাকায় একটা বড় চিন্তার কারণ এটি। অনেক বেশি উচ্চতায় অবস্থিত পাহাড়ি লেকগুলি হিমবাহের সঙ্গে যুক্ত থাকে। হিমবাহের গলা জলে পুষ্ট হয় লেকগুলি। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহগুলি বেশি মাত্রায় গলছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে গলা জল এসে লেকের আয়তন বাড়াতে থাকে। একসময় লেক আর অতিরিক্ত পরিমাণ জল ধরে রাখতে পারে না। তখন লেক সংলগ্ন বাঁধ ভেঙে বিপুল জলরাশি নেমে এসে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিপর্যয় ঘটায়। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর শিখেন্দ্র দে জিএলওএফ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর সিকিমের সাউথ লোনক নামে যে লেকটি থেকে গতবছর বিপর্যয় ঘটেছিল, উপগ্রহ থেকে নেওয়া ছবির মাধ্যমে তার উপর নজর রেখে দেখা যাচ্ছিল কীভাবে এখানে জমা জলের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। হিমবাহ গলা জল আসার পরিমাণ বাড়তে থাকার ফলেই এটা হচ্ছিল। উত্তর সিকিমে আরও কয়েকটি লেকের এরকম আশঙ্কাজনক চেহারা সামনে এসেছে স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে।
সম্প্রতি জিএলওএফ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন কমিটির একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান সচিব পি কে মিশ্র এইকথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ওই রাজ্যে এরকম ৪০টি বিপজ্জনক লেক চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ১৮টি পরিদর্শন করে এসেছে বিভিন্ন এজেন্সিকে নিয়ে গঠিত টিম। বিপর্যয় প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে পাঁচটি লেকে।