সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
মহারাষ্ট্রে লড়াই দুই জোটের। ক্ষমতাসীন মহাযুতি ও বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ির মধ্যে। দুই জোটেই আবার রয়েছে তিনটি করে বড় দল। আশঙ্কার প্রথম জায়গা, বহু শিবিরে বিভক্ত মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে কোনও জোট আদৌ ম্যাজিক ফিগার পার করতে পারবে কি না। ২৮৮টি আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় এজন্য অন্তত ১৪৫টি আসন প্রয়োজন। দ্বিতীয় বিষয় হল, কোনও জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেলেও শরিকদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দড়ি টানাটানির আশঙ্কা প্রবল। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে শরিকদের সহমত আদৌ তৈরি হবে কি না, প্রশ্ন থাকছে তা নিয়েও।
ক্ষমতাসীন মহাযুতি শিবিরে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন শিবসেনার একনাথ সিন্ধে। ফল প্রকাশের পর মহাযুতি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশও মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রবল দাবিদার হবেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাবেন বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। ফলে জোটের মধ্যেই অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা থাকছে। একই আশঙ্কা থাকছে বিরোধী মহা বিকাশ আঘাড়ি ম্যাজিক সংখ্যা পেলেও। শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব থ্যাকারে নিশ্চিতভাবেই ফের মুখ্যমন্ত্রী পদ ফিরে পাওয়ার জন্য ঝাঁপাবেন। আবার জোটের মধ্যে কংগ্রেস যদি সবচেয়ে বেশি আসন পায়, তাহলে তারাও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি তুলবে। স্বাভাবিকভাবেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপতি শাসনের আশঙ্কা কতটা এড়ানো যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এবারও তেমনটা হলে বম্বে রাজ্য থেকে মহারাষ্ট্র পুনগর্ঠিত হওয়ার পর মোট চার বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ঘটনা ঘটবে। সর্বশেষ তেমনটা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেবার বিজেপি ও উদ্ধব থ্যাকারের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত শিবসেনা একসঙ্গে ভোটে লড়লেও মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। তার জেরে সেই জোট ভেঙে যায়। কোনও দল সরকার গঠন করতে না পারায় ১১ দিনের জন্য জারি হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। এর আগে ২০১৪ সালেও এক মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। আর প্রথমবার মারাঠাভূমে রাষ্ট্রপতি শাসনের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮০ সালে।