শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
সূত্রের দাবি, রবিবার শেষরাত থেকেই রাঙাপানি থেকে চটেরহাটের মধ্যবর্তী অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এই ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ‘ব্লক সেকশন’-এর মধ্যে ম্যানুয়াল সিগন্যালের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল করানো হয়। এর পোশাকি নাম পেপার লাইন ক্লিয়ার (পিএলসি)। নিয়ম অনুযায়ী, ‘ব্লক সেকশনে’ একটি ট্রেন থাকলে অন্য কোনও ট্রেনকে ওই একই লাইনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানিতে পিএলসি পেয়ে খানিক এগিয়ে গিয়ে চটেরহাটের আগে দাঁড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যতক্ষণ শিয়ালদহগামী এই ট্রেনটি চটেরহাট স্টেশন অতিক্রম না করবে, ততক্ষণ ওই লাইনে কোনও ট্রেন আসতে পারে না। কিন্তু দেখা যায়, একই লাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘার পিছনে থাকা মালগাড়িটি ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিমি বেগে এসে সজোরে ধাক্কা মারে। মালগাড়ির চালক সবুজ সঙ্কেত পেয়েই এগিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ রেলের তরফে প্রচার করা হচ্ছে, ওই চালক সিগন্যাল মানেনি। রেল বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছেন, ম্যানুয়াল সিগন্যাল না পেলে চালক কখনওই ট্রেন চালাবেন না। এক্ষেত্রে মৃত চালকের পক্ষে রেলের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই। রেলেরই অন্য একটি সূত্র কিন্তু বলছে, স্টেশন ম্যানেজার যে লিখিত ছাড়পত্র ‘টিএ-৯১২’ কাঞ্চনজঙ্ঘার চালককে দিয়েছিলেন, সেই একই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে মালগাড়ির চালককেও। সেই গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রেল অবশ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, টিএ-৯১২ মেমো ইস্যু করার অর্থ এই নয় যে, নর্মাল স্পিডে ট্রেন চালাতে পারবেন চালক। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশে ঘণ্টায় ১০ কিমির বেশি গতি তুলতেই পারবেন না চালক। যদিও আদৌ এই মেমো ইস্যু হয়েছিল কি না, তা উল্লেখ করেনি রেল। ইতিমধ্যে অবশ্য তদন্ত শুরু করেছে কমিশনার্স ফর রেলওয়ে সেফটি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে তারা।