শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
হিংসার সূত্রপাতের পর এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা পুলিশ-প্রশাসন এখনও সেখানে শান্তি ফেরাতে পারেনি। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দু’টি আসনও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। প্রশ্ন উঠছে, সেই কারণেই কি নড়েচড়ে বসছে কেন্দ্র? সেক্ষেত্রে বিকল্প পথ কী হতে পারে? সেই প্রসঙ্গেই এদিনের বৈঠকে উঠে আসে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা। যদিও এদিনের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে শীর্ষ আধিকারিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে।
মণিপুরের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। কয়েকদিন আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সফর করবেন বলে স্থির ছিল, সেখানেই হয়েছে হামলা। বহুবার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি ভবন, আধিকারিকদের বাংলো। উপত্যকা এবং পার্বত্যাঞ্চল, সম্পূর্ণভাবে বিভাজিত হয়ে গিয়েছে দুই জনজাতির আবাসভূমি। কেন রাজ্যে এখনও রাষ্ট্রপতি শাসন কেন জারি হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু গত ৪ জুনের পর আচমকা বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। লোকসভার ফলপ্রকাশের পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত একঝাঁক তিরে বিদ্ধ করেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। ঔদ্ধত্যকে বিজেপির হারের অন্যতম কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। এই আক্রমণাত্মক মন্তব্যের মধ্যে অন্যতম ছিল মণিপুর। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যকে যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, তার সমালোচনাও করেন। বলেন, মণিপুরে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে, সব পক্ষের কথা শুনে সকলের আস্থা অর্জন করা উচিত ছিল। এখন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব মণিপুরের পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করা।
সরসঙ্ঘচালকের ওই তোপের কয়েকদিনের মধ্যেই মণিপুর নিয়ে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবারের বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাকর্তা তপন ডেকা, সেনাপ্রধান মনোজ পান্ধে, মণিপুরের পুলিসকর্তা, মুখ্যসচিব, অসম রাইফেলসের ডিজি। এ পর্যন্ত মণিপুরে ২২৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। ঘরছাড়া ৫০ হাজারের বেশি। কিছুদিন আগেই একের পর এক ভবন বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখনও জটিল। ফলে দিশাহারা কেন্দ্র এবার একটা বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।