শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ থেকে রাজ্যগুলির কেরোসিনের বরাদ্দ কমাতে শুরু করে। শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে বাংলার বরাদ্দ হ্রাস দীর্ঘদিন ঠেকিয়ে রাখা গিয়েছিল। মাসকয়েক আগে সেই আইনি রক্ষাকবচ কিছুটা শিথিল হতেই, বাংলার বরাদ্দ এপ্রিল থেকে ব্যাপকভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। আগে এরাজ্যের জন্য প্রতি তিনমাসে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার বরাদ্দ করা হতো, সেটা এখন কমে হয়েছে ৫৮,৯৬৮ কিলোলিটার। এখনও যে ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকাকে কেরোসিন দেওয়া হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গই পায়। এরপরই রয়েছে বিহার (৬,৩৮৪ কিলোলিটার)।
রাজ্যের কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত জানান, বাংলার পরিস্থিতি আলাদা। হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে পেট্রলিয়াম মন্ত্রককে পশ্চিমবঙ্গের বরাদ্দের ব্যাপারে বিশেষ নীতি তৈরি করতে বলা হয়, কিন্তু তা এখনও তারা করেনি। নীতি তৈরির আগে রাজ্যের পরামর্শ মেনে বরাদ্দও ঠিক করতে বলা হয়। তারপর থেকে বাংলার বরাদ্দ এক ঝটকায় কমিয়ে দেওয়া হয়। আগের মাসিক বরাদ্দ ৫৮ হাজার কিলোলিটারকে এখন ২০ হাজার কিলোলিটারেরও নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বাড়ানো হয়েছে দাম। বাংলার যা আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, তাতে এই কেন্দ্রীয় পদক্ষেপে গরিব মানুষ বেশ সঙ্কটে পড়েছেন। অনেকে বাধ্য হচ্ছেন শুকনো কাঠ-লতাপাতা জ্বেলে রান্না করতে। এতে পরিবেশ এবং শরীর উভয়েরই ভয়ানক ক্ষতি হচ্ছে। আগামী দিনে এই প্রবণতা বৃদ্ধিরই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।