শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পান মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও রেল পুলিসকে নির্দেশ দেন। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন দলের জনপ্রতিনিধিদের। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স-চিকিৎসক পাঠানো, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করানো, উদ্ধার কাজে বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠানো—সবটাই নিজে তত্ত্ববধান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটাও তিনি উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রের সরকার যখন দুর্ঘটনার খবর পায়নি, তখন থেকে আমাদের রাজ্য প্রশাসন যথেষ্টভাবে তৎপর।
প্রশাসনিক এই কাজকর্মের মধ্যেই দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন মমতা। কিন্তু কলকাতা থেকে বাগডোগরা যাওয়ার বিমান স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে পৌঁছন তিনি। পৌঁছেই চলে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। উদ্ধার কাজের বিষয়ে খবর নেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত মমতার কাছে খবর এসেছিল, দুর্ঘটনায় মৃত ৮, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পিছনে সরাসরি রেলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের সরকারের চূড়ান্ত গাফিলতি বলেও জানান তিনি। মমতা বলেছেন, গোটা রেল ব্যবস্থাটাই অভিভাবকহীন। রেলকে দেখতে পাওয়া যায় শুধু উদ্বোধনের সময়। যাত্রী সুরক্ষা-নিরাপত্তায় চূড়ান্ত অবহেলা। তুলে দেওয়া হয়েছে রেল বাজেট।
রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস। কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে তা রূপায়িত হয়নি। উল্টে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ‘সুরক্ষা কবচ’ চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা চালু না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এপ্রসঙ্গেই মমতা বলেছেন, দুর্ঘটনা কারও হাতে নেই। কিন্তু কঙ্কন রেলকে ব্যবহার করে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমি তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। আমি নিজে মারগাঁওয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ দেখা সুরক্ষা কবচ নামে নতুন অনেক নাম দিচ্ছে, কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষার দিকে খেয়াল নেই রেলমন্ত্রকের। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, রেলের যে কর্মীরা কাজ করছেন, তারা ভালো। কিন্তু রেল মন্ত্রী সহ যারা পলিসি মেকিংয়ে রয়েছেন, তাদের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি রেল মন্ত্রী থাকার সময় অটো সিগন্যাল সহ অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা করে গিয়েছিলাম। তাঁর প্রশ্ন, অটো সিগন্যালিং এখনও কার্যকর করা হয়নি কেন?
রেলের বর্তমান অব্যবস্থা নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আগের রেলের একটা শ্রী ছিল। কিন্তু এখন বিছানাপত্র নোংরা, খাবারের গুণগত মান খারাপ, শৌচাগার অপরিস্কার। যাত্রীদের অভিযোগ কানে আসছে। রেলের মাধুর্যটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।