শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, দাউদ ইব্রাহিম বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী তাঁকে সাম্মানিক অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পদেও উন্নীত করা হয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে দাউদের সেই যোগাযোগকে কাজে লাগাতেই মূলত তাঁকে নিজেদের ‘অ্যাসেট’ হিসেবে বেছে নেয় সিআইএ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে দাউদকে নিরাপদে রাখতে ক্রমাগত সেফ হাউস পরিবর্তন করানো হচ্ছে।
বয়স বাড়ার সঙ্গেই বনানান অসুস্থতায় ভুগছেন দাউদ। তারপরেও কেন একজন কুখ্যাত ডনকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখনও দাউদের নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভ রয়েছে। মূলত হেলমন্দ উপত্যকা থেকে আফিম পাচারের জন্য এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন দাউদ। টাইগার মেমনের সুবাদে ক্ষমতাসীন তালিবানের সঙ্গেও এই ডনের সুসম্পর্ক। যার সুবাদে আফগানিস্তানে অবৈধভাবে দামী পাথরের খনিও চালাচ্ছেন তিনি। আফগানিস্তানে নিজেদের কাজকর্মের জন্য দাউদের নেটওয়ার্কের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে সিআইএ। সেই সুবাদেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্ব বেড়েছে ডনের।
এই মুহূর্তে দাউদ ঠিক কতটা প্রভাবশালী? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পলাতক এই ডন সরাসরি রিপোর্ট করেন ইসলামাবাদের সিআইএ স্টেশন ডিরেক্টরকে। যে কোনও প্রয়োজনে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যে কোনও কাজে আইএসআইকে প্রথমে যোগাযোগ করতে হয় দাউদের সঙ্গেই। খোদ পাকিস্তানেই তাঁকে এড়িয়ে সিআইএ’র সঙ্গে কোনও কাজ করা সম্ভব নয় আইএসআই কর্তাদের পক্ষেও। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার অ্যাসেট হিসেবে নিজের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবারের সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন দাউদ ইব্রাহিম। মার্কিন ছত্রছায়ায় থাকার ফলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের এখন আর পশ্চিমের দেশগুলিতে যেতে কোনও বাধা নেই।
জানা গিয়েছে, এত কিছুর পরেও প্রতি মুহূর্তে প্রাণভয়ে থাকেন দাউদ। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা একাধিক জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিবারই আঙুল উঠেছে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার দিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ‘র’। মূলত সেই কারণেই প্রাণভয়ে ভুগছেন দাউদ। এমনকী, সৌদি আরবে হজে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করেছেন ভারতের এই মোস্ট ওয়ান্টেড ডন।