পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
ফল প্রকাশের পর সপ্তাহ পেরিয়েছে। তবু নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে উঠতে পারছে না বিজেপি। রাজ্য সরকারের নেতা ঠিক না হলেও শপথগ্রহণের নির্ঘণ্ট অবশ্য শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী সোমবার বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হবে। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। এই আজব কাণ্ডেই স্পষ্ট, মহারাষ্ট্রে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির। সৌজন্যে একজনই, ‘বিদায়ী’ বা ‘কেয়ারটেকার’ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে। সরকার গঠনের প্রশ্নে পদ্ম পার্টির প্রাণ ওষ্ঠাগত শুধু শরিক শিবসেনার গেরোয়।
মুখ্যমন্ত্রী পদ ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলির দাবি নিয়ে মহাযুতির টানাপোড়েন এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। শরিক এনসিপির নেতা অজিত পাওয়ার এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপি থেকেই। বাকি দুই শরিক দলকে দেওয়া হবে উপ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। দিল্লির বৈঠকেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। আর সরকার গঠনে এমন দেরি কিন্তু এই প্রথম নয়। ১৯৯৯ সালে এব্যাপারে একমাস সময় লেগেছিল।’ মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের দিকেই সমর্থন রয়েছে অজিতের। বদলে শুধু উপ মুখ্যমন্ত্রী নয়, তিনি পাবেন অর্থ দপ্তরও। এমন জল্পনা চরমে। কিন্তু মন্ত্রিত্বের সেই ভাগ বাঁটোয়ারাতেও বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন একনাথ সিন্ধে। একদিন আগেই গোঁসা করে এই শিবসেনা নেতা চলে গিয়েছেন সাতারায় গ্রামের বাড়িতে। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ ও দপ্তর বণ্টন নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক পর্যন্ত বাতিল হয়েছে। যদিও বিড়ম্বনা ঢাকতে শিবসেনা নেতা তথা বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী বিজয় সামন্তের দাবি, সিন্ধে হতাশ নন। তাঁর শরীর ঠিক নেই। বাতিল হওয়া বৈঠক শীঘ্রই হবে। সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলোচনায় যোগ দেবেন তিনি। কিন্তু রফাসূত্র কবে বেরবে? নিরুত্তর মহাযুতির তিন শরিক দলই।
২৮৮ বিধানসভার মহারাষ্ট্রে বিজেপি একাই ১৩২টি পেয়েছে। তার উপর অজিত পাওয়ারের সমর্থনও পাকা। তাহলে আটকাচ্ছে কোথায়? অন্দরের খবর, সিন্ধের দাবিদাওয়ায় নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে মোদি-অমিত শাহের দলকে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পদ হাতছাড়া হলেও একযোগে উপ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দলের হাতে রাখতে চান তিনি। ঠিক যেভাবে বিদায়ী সরকারে উপ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদেও ছিলেন বিজেপি নেতা কিন্তু স্বরাষ্ট্র সহ হেভিওয়েট বিভাগগুলি শিবসেনাকে ছাড়তে নারাজ বিজেপি। আর তাতেই হতাশ সিন্ধে। এই অবস্থায় সামন্ত বলেছেন, সিন্ধেজিই লাডলি বহিন যোজনা শুরু করেছিলেন। আমরা চাই তিনি সরকারে থাকুন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, সিন্ধে ও অজিত পাওয়ারের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হবে। সেখানেই মন্ত্রিত্ব ও দপ্তর বণ্টন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আবার শিবসেনার অন্য একটি সূত্র বলছে, বিদায়ী সরকারের নেতা থেকে নতুন সরকারের দু’নম্বর হতে চান না সিন্ধে। বরং পছন্দের দপ্তরগুলি দলের হাতে এনে তিনি মহাযুতির আহ্বায়ক পদে বসতে আগ্রহী। এই ঠান্ডাযুদ্ধের কারণেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বিশ বাঁও জলে। কোন্দল ধামাচাপা দিতে তাই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক না করেই শপথগ্রহণের দিন ঘোষণা করে দিল বিজেপি।