পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ
১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনকে সংশোধন করে গত ৮ আগস্ট লোকসভায় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন। কিন্তু বিরোধীদের প্রবল চাপে সেটি সংসদীয় যৌথ কমিটিতে পাঠানো হয়। নতুন বিলে ৪৪টি সংশোধনী আনতে চায় কেন্দ্র। যার অধিকাংশে আপত্তি বিরোধীদের। তাই কমিটি ২৬টি বৈঠকের পরেও সবর্সম্মত রিপোর্টই তৈরি করতে পারেনি। আরও আলোচনার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। সেই দাবি মেনে নিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেছেন, কেন্দ্রের এই বিল আইনে পরিণত হলে ধ্বংস হয়ে যাবে ওয়াকফ ব্যবস্থা। যে বিল কেন্দ্রের তরফে আনা হয়েছে, তা নিয়ে আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। কোনও ধর্মের উপর আক্রমণ হলে আমরা তার নিন্দা করি। কেন্দ্রের এই বিলের মধ্যে দিয়ে একটি ধর্মকে নির্দিষ্ট করে টার্গেট করা হয়েছে। ওয়াকফ বিল একটি ধর্মের বিরুদ্ধে বিল। এর বিরুদ্ধে আমরা কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলাম। এই বিল স্বাধীনতার অধিকার, সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। আমি সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী। কেন্দ্রের নয়া বিল অ্যান্টি ফেডারেল। ওয়াকফে শুধু মুসলিমরা নন, হিন্দুরাও দান করেছেন। আমাদের সময়ে ওয়াকফ সম্পত্তি দখল হয়নি। ১৯৩৪ সালে কে দখল করেছে, সেটা আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমি তারজন্য বুলডোজার পাঠাতে পারব না। জমি দখলের বিষয়টি ওয়াকফ বোর্ড ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়েত উলেমার ডাকে ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ওয়াকফ বিল নিয়ে আন্দোলন তীব্রতর হবে। এই বিল কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।