পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ
আলুর দাম বৃদ্ধিতে, গত সপ্তাহে নবান্নে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষ্কার কথা ছিল, আগে রাজ্যের মানুষের কাছে ন্যায্য দামে আলু বেচতে হবে, তারপর তা যাবে অন্যত্র। প্রয়োজনে রাজ্য সীমানায় কড়াকড়িরও নির্দেশ দেন তিনি।
পরদিনই (গত শুক্রবার) বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। শনিবার হরিপালে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠক হয় আলু ব্যবসায়ীদের। সেখানে ঠিক হয়, কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলির খুচরো বাজারের জন্য হিমঘর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু পাঠানো হবে। সোমবার থেকে তা শুরু হয়েছে। তবে খুচরো বাজারে দাম এখনও তেমন কমেনি। এতে রাজ্য প্রশাসন অসন্তুষ্ট এবং ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর উপর নিয়ন্ত্রণ চাপিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পরিবহণ ও অন্যান্য খরচ ধরে কলকাতার খুচরো বাজারে ২৮ টাকা কেজি দরে আলু পৌঁছছে। কিন্তু তা খুচরো বাজারে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কেন? রাজ্য সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা ঠিকঠাক কথা রাখেননি। চালানে ২৬ টাকা দাম লেখা হবে, সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। আলু নিয়ে বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তাঁর দাবি, দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু কড়াকড়ি করা সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য, হিমঘরগুলিতে এখনও ৭ লক্ষ টনের বেশি আলু মজুত আছে। এইসময় হঠাৎ ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ হলে নানা সমস্যা হবে। এরাজ্যে ছোট সাইজের আলুর বিশেষ চাহিদা নেই। তা মূলত বাইরেই যায়। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ব্যবসায়ী সংগঠন শীঘ্রই বৈঠকে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে, হিমঘরে আলু মজুত রাখার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। সময় বৃদ্ধির জন্য আজ, শুক্রবার কোনও নির্দেশিকা জারি হয় কি না সেদিকেই নজর সংশ্লিষ্ট মহলের।