সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
সুশান্ত ঘোষ কাণ্ডের তদন্তে নেমে আফরোজের ফোনের সূত্র ধরে মহম্মদ ফুলবাবুর নাম উঠে আসে। দেখা যায়, একাধিকবার তার সঙ্গে আফরোজের কথা হয়েছে ঘটনার আগে ও পরে। গুলিকাণ্ডের পরই ফুলবাবু কলকাতা ছেড়েছে। আফরোজ জেরায় জানায়, ফুলবাবু বেশ কয়েকবছর আগে কলকাতায় আসে। গুলশান কলোনিতে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফুলবাবুর সঙ্গে বিহারের একাধিক শার্প শ্যুটার ও বিভিন্ন গ্যাংয়ের পরিচয় রয়েছে। ভিন রাজ্যে অপরাধ করে আসার পর তারা কলকাতায় পালিয়ে এসে গুলশান কলোনিতে আশ্রয় নিত। এখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিত ফুলবাবু। এমনকী কলকাতায় কেউ আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে চাইলে, সমস্তিপুরের বাসিন্দা এই অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হতো। সে টাকা নিয়ে বিহারে পাঠিয়ে দিত। সেখান থেকে চলে আসত আর্মস। কখনও সে নিজে গিয়ে ডেলিভারি নিত। এরপর তা পৌঁছে দিত আগ্নেয়াস্ত্রের বরাত দেওয়া ব্যক্তির কাছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, সুশান্তকে নিকেষ করার পরিকল্পনা হওয়ার পর আফরোজ কথা বলে ফুলবাবুর সঙ্গে। তাকে বলা হয় বিহার থেকে ছেলে জোগাড় করতে। সেইমতো পাপ্পু চৌধুরি গ্যাংয়ের সঙ্গে ফুলবাবুর মাধ্যমে যোগাযোগ হয় আফরোজের। তাদের সঙ্গে কথা বলতে দুজনই বিহারে যায়। সুপারির অঙ্ক ঠিক হয়ে যাওয়ার পর ফুলবাবুর মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় বিহারে। এই টাকায় কেনা হয় আগ্নেয়াস্ত্র। পাশাপাশি বিহার থেকে আসা দুষ্কৃতীদের লেকটাউনের আবাসনে থাকার ব্যবস্থা করে ফুলবাবু। ওই আবাসনে বসেই আফরোজ গোটা পরিকল্পনা ছকে ফেলে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ঘটনা দিন একাধিকবার আফরোজ ও ফুলবাবুর কথা হয়েছে। আফরোজ জানিয়েছে, কীভাবে ও কোন পথে আসবে শার্প শ্যুটাররা, কোন রাস্তা দিয়ে পালাবে সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথাবার্তা চলেছিল। ট্রানজিট রিমান্ডে ফুলবাবুকে কলকাতায় নিয়ে এসে পাপ্পু গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করবে পুলিস।