সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
নিছক দুই রাজ্যের সরকার গঠনেই যাবতীয় আগ্রহ সমাপ্ত হচ্ছে না। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৪৭টি বিধানসভা ও লোকসভা আসনের উপ নির্বাচনেরও ফল ঘোষণা হবে আজ। সংশ্লিষ্ট রাজ্য তথা দেশের রাজনৈতিক সমীকরণের ক্ষেত্রে তা প্রবল তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপির বিজয়রথ। যোগী আদিত্যনাথ কি সেই ধস সামলাতে পারলেন? আজ সে রাজ্যের ন’টি আসনের উপ নির্বাচন সেই প্রশ্নের জবাব দেবে। বাংলায় ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন ছিল বাম-বিজেপির কাছে আর জি কর ইস্যুর লিটমাস টেস্ট। নাগরিক আন্দোলনকে সামনে রেখে তারা পরোক্ষে প্রচার করেছে যে, গোটা রাজ্যই রাতারাতি তৃণমূল বিরোধী হয়ে উঠেছে। তোলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও। সেই দাবি সঠিক ছিল নাকি অসাড়, তা প্রমাণ হবে আজ। বাম-বিজেপির প্রত্যাশা ব্যর্থ হলে, বাংলায় তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফল যদি একতরফা তৃণমূলের পক্ষে যায়, সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ভোট সম্ভবত স্রেফ নিয়মরক্ষার হতে চলেছে। কারণ, এত প্রবল সামাজিক প্রতিবন্ধকতার পরিস্থিতিতেও যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সফল হন, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর ভোটব্যাঙ্ক অটুট আছে এবং থাকবেও।
দুই রাজ্যের বিধানসভায় এক্সিট পোলগুলির আভাস ছিল মিশ্র। কিয়দংশ বলেছে, ত্রিশঙ্কু হবে। কিছু সমীক্ষার পূর্বাভাস, মহারাষ্ট্র বিজেপি জোটের, ঝাড়খণ্ড ‘ইন্ডিয়া’র। আবার কয়েকজন সমীক্ষকের বক্তব্য, দুই রাজ্যই যাবে এনডিএ-র ঝুলিতে। লোকসভা ভোট এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর তাই এক্সিট পোলেরও পরীক্ষা আজ। ৪০০-র পরিবর্তে ২৪০ পাওয়ার লজ্জা ঢাকতে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড জয়ে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী মহাজোটের কাছেও এই দুই রাজ্য ঠিক ততটাই প্রেস্টিজ ফাইট। ‘ইন্ডিয়া’ যদি এই দুই রাজ্যে পরাস্ত হয়, তাহলে বিপুল অক্সিজেন পাবে বিজেপি। এবং বিরোধীদের ঐক্য দুর্বল হবে। আবার বিজেপি জোট পরাজিত হলে দল নয়, মোদিই হবেন ব্যর্থতার কারণ হিসেবে প্রধান নিশানা।
কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ, ইন্ডিয়া, মোদি বিরোধী ইস্যু অথবা আগামী দিনের রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ধারণ তো রয়েছেই। কিন্তু তার আড়ালে আজ গান্ধী পরিবারের অন্যতম বৃহৎ টেনশন একটি আসনকে কেন্দ্র করে। দল তথা পরিবারের নবতম সংসদীয় রাজনৈতিক মুখ কি জয়ী হবেন? কেরলের ওয়েনাড় থেকে যদি তিনি লোকসভায় জয়ী হন, তাহলে ভারতের সংসদে প্রবেশ করবেন একই পরিবারের দশম গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় একইসঙ্গে দেখা যাবে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে। ‘প্রিয়াঙ্কা নেহি ইয়ে আন্ধি হ্যায়, দুসরা ইন্দিরা গান্ধী হ্যায়’ এই জয়ধ্বনি কি আজ আবারও তুলতে পারবেন কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা?