সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
চাই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পেশাদার। আবেদনকারীদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া হচ্ছে ‘এক্সপেক্টেড স্যালারি’ও। পদ পাঁচটি—পলিটিক্যাল অ্যানালিস্ট, পলিটিক্যাল ইন্টার্ন, কনটেন্ট রাইটার, গ্রাফিক ডিজাইনার ও ডিজিটাল মার্কেটিং এগজিকিউটিভ। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘সমাজ মাধ্যম মানে সমাজের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। যার মাধ্যম প্রযুক্তি। প্রযুক্তি যারা জানে, তাদের কাছে শেখার আছে। এর মধ্যে সৃজনশীলতা আছে। আমাদের তরুণ, সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের লোকেদের প্রশিক্ষণ দরকার। একসঙ্গে কাজ করলে সিপিএমের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়বে।’ পার্টি সদস্য না হলে এই দলে যোগ দেওয়া যাবে? সেলিম বলেন, ‘পার্টির বাইরে অনেকে থাকে, যাঁরা দরদী, সমর্থক। সকলকে নিয়ে মানবসম্পদ তৈরি হয়।’ রাজ্য সম্পাদক সোশ্যাল মাধ্যমে নিয়োগের বার্তা দেওয়ার পরই নেতৃত্ব থেকে পার্টি কর্মী-সমর্থকরা একেবারে প্রচারে ভরিয়ে গিয়েছেন। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, বিভিন্ন গণসংগঠন থেকে লোক নিয়ে ইতিমধ্যেই টিম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁদেরকেই প্রশিক্ষণ দেবেন পেশাদাররা। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এরিয়া, জেলা, রাজ্য কমিটিই শেষ কথা বলবে। এই পেশাদাররা বিভিন্ন বিষয়ে ‘ইনপুট’ দেবেন। এক প্রথমসারির নেতার কথায়, ‘অনেকে ৪০ বছর রাজনীতি করার পর বুঝতে পারছেন, এখন পরিস্থিতি বদলেছে।’ পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে প্রবীণ নেতা কিংবা তরুণ টেক স্যাভি হোলটাইমাররা রেগে যাবেন না তো? এক নেতার কথায়, ‘সকলে যাতে মেনে চলেন, তাই তো একেবারে উচ্চপর্যায় থেকে বিষয়টা করা হয়েছে।’ তাহলে কি তৃণমূল-বিজেপির মতো ‘থার্ড পার্টি’ নির্ভরশীলতায় চলে গেল সিপিএম? নেতৃত্ব বলছে, নিজেদের মতো টিম তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। শুক্রবারই সীতারাম ইয়েচুরির ‘মতাদর্শের প্রশ্নে’ বইপ্রকাশের জন্য রোটারি সদন ভাড়া করেছিল সিপিএম। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, এর আগে সিপিএমের অনুষ্ঠান কখনও এইসব জায়গায় হয়েছে? হয়নি তো অনেক কিছুই। এবার হবে।
তবে প্রশ্ন হল, নতুন কিছু করে কি বুথে লোক ফেরানো যাবে? নাকি ‘ওয়ার রুমে’ই সিপিএমের তরুণরা বসে কোল্ড ড্রিঙ্কে চুমুক দেবেন? যতই হোক, এঁরা হবেন নতুন কর্মসূচিতে, নতুন প্রজন্মের ক্যাডার। সীতারাম ইয়েচুরি কি এতটা ভেবেছিলেন?