সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে জড়িয়েছিল জামাল। মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারের দুই চাঁইয়ের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে সরবরাহে কোনওদিন ঘাটতি হয়নি। মূলত উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ও বনগাঁ এলাকায় অস্ত্র কারবার ফেঁদেছিল সে। এই পর্বেই দক্ষিণ শহরতলির মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানা খুলে ফেলেছিল জামাল। মুঙ্গেরের কারিগররা এসে স্থানীয় কয়েকজনকে হাতেকলমে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি শিখিয়ে গিয়েছিল। সেই কারখানার হদিশ পেয়ে হানা দিয়েছিল পুলিস। পাততাড়ি গুটিয়ে গেলেও তখন থেকেই জামালের উপর নজরদারি শুরু হয়। গোয়েন্দারা খবর পান, ফের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র এনে বিক্রির কারবার শুরু করেছে এই ‘হিস্ট্রি শিটার’!
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, কারবার সম্প্রসারণের জন্য গ্রামীণ এলাকার গরিব ঘরের স্মার্ট মেয়েরাই ছিল জামালের ‘টার্গেট’! এই মেয়েদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম, তারপর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন পর্বে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে গ্যাংয়ে শামিল করা। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গার্লফ্রেন্ডদের এরপরই সে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিত। কেউ রাজি না হলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’। বাধ্য হয়ে রাজি হতো সবাই। হাতের বাহারি পার্স আর ট্রলিব্যাগে ভরে মুঙ্গের থেকে নিয়মিত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা। আর্মস পিছু কমিশন ১০ শতাংশ। বান্ধবীদের বয়ে আনা ওয়ান শর্টার সাত হাজার আর নাইন এমএম পিস্তল ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করত জামাল। অস্ত্র কারবারের ‘ক্যারিয়ার’ জামালের তিন বান্ধবীর হদিশ ইতিমধ্যেই পেয়েছে সিআইডি। শুধু হেফাজতে নেওয়ার অপেক্ষা।