সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
সূত্রের খবর, স্থায়ী শিক্ষক চিকিৎসক, এসআর, আরএমও, মেডিক্যাল অফিসার মিলিয়ে এখানে মোট অনুমোদিত শিক্ষক চিকিৎসকের সংখ্যা ৪৫। সেখানে কতজন ডাক্তারে এখানে হাজার হাজার রোগী দেখা, অপারেশন চলছে শুনলে চমকে যেতে হয়। মাত্র ১৮ জন! প্রতিমাসে এখানে যত অপারেশন হয়, তাকে ছানি এবং অন্যান্য অপারেশনে ভাগ করা যাক। মাসে এখানে শুধু ছানি অপারেশনই হতো ২৫০০। অন্যান্য অপারেশন প্রায় হাজারখানেক। সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ হাজার। বছরে প্রায় ৪২ হাজার। লোকবল অর্ধেকের বেশি কমে যাওয়ায় সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২৭-৩০ হাজার। যার মানে, এক ধাক্কায় এখানে অপারেশন কমেছে ১২-১৫ হাজার!
লোকবলের অভাবে অপারেশন কমেছে। কিন্তু সত্যিই কিন্তু অভয়া কাণ্ডের প্রতিবাদের জেরে অচলাবস্থা কাটার পর এখানে রোগী বেড়েছে? এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, সাধারণভাবে চোখের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এখানে একমাসে ডাক্তার দেখাতেন ২৫ হাজার রোগী। অচলাবস্থা কাটার পর রোগীর সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার। কিন্তু ডাক্তার তো বাড়েনি। ফলে যাঁদের দ্রুত অপারেশন দরকার, নির্দিষ্ট সময়ে তা করা যাচ্ছে না। চোখ নষ্ট হওয়ার জোগাড় হচ্ছে। এমনকী কিছু ক্লিনিকও বন্ধ হওয়ার দশা। লোক কম, তারই মধ্যে এখানে বাচ্চাদের গ্লকোমা চিকিৎসার এক দক্ষ বিশেষজ্ঞকে বদলি করে দেওয়া হল। দু’দিন আউটডোর এবং দু’দিন অপারেশনের সেই শাখা এখন প্রায় বন্ধ!
লোকের অভাবে এখানে চালু করা যাচ্ছে না ভিট্রো রেটিনাল সার্জারিতে সর্বোচ্চ এমসিএইচ ডিগ্রিও। চালু হলে দেশের মধ্যে তৃতীয় (দিল্লি এইমস এবং পিজিআই চণ্ডীগড়ের পর) কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই বিভাগ চালু হতো। প্রভূত উপকৃত হতেন রোগীরাও। প্রতিষ্ঠান সূত্রের খবর, বিষয়গুলি বহুবার স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। তাতে লাভ কিছুই হয়নি।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে আরআইও অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ বলেন, ‘নিজের প্রতিষ্ঠানকে দেশের এক নম্বর চোখের হাসপাতাল হিসেবে দেখতে চাই। কিছু সমস্যার কথা স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের আর্জি রইল।’