সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
টি বোর্ডের দাবি, চা শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ করে ক্ষুদ্র চা বাগানের উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে ৬৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের ভাগ্যে তার কতটুকু জুটবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এর আগে উত্তরের চা বাগানের জন্য হাজার কোটির তহবিল ঘোষণার কথা বলা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক।
গত কয়েক বছর ধরে দেশে চায়ের উৎপাদন কমছে। ২০২২ সালে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০০৩.১৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু গত বছর প্রথম ন’মাসে চায়ের উৎপাদন অনেকটাই কমে। টি বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দেশে জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর চা উৎপাদিত হয়েছিল ৯৯০.২৪ মিলিয়ন কেজি। এবার তা আরও কমেছে। চলতি বছরের প্রথম ন’মাসে চা উৎপাদন হয়েছে ৯১৩.৫১ মিলিয়ন কেজি। ফলে গত বছরের নিরিখে এবার ৭৭ মিলিয়ন কেজি বা ৭ কোটি ৭০ লক্ষ কেজি চায়ের উৎপাদন কমেছে দেশে।
চা শিল্পে বিপর্যয়ের বড়সড় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এ রাজ্যেও। ২০২২ সালে প্রথম ন’মাসে বাংলায় তরাই-ডুয়ার্স ও পাহাড় মিলিয়ে চায়ের উৎপাদন হয়েছিল ২৯২.৬৯ মিলিয়ন কেজি। ২০২৩ সালে ওই সময়কালে রাজ্যে চায়ের উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ২৯৬.০৮ মিলিয়ন কেজি। আর এ বছর একই সময়ে রাজ্যে চা উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৫৪.৬৪ মিলিয়ন কেজি। ফলে গতবারের তুলনায় এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলায় ৪২ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ৪ কোটি ২০ লক্ষ কেজিরও বেশি চায়ের উৎপাদন কমেছে।
অসমেও চায়ের উৎপাদন কমেছে। তবে বাংলার তুলনায় কম। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, চায়ের উৎপাদন কমার পিছনে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের যে বড় প্রভাব আছে তা অস্বীকার করা যায় না। চা শিল্পের উন্নয়নে কেন্দ্রের কাছে কিছু প্রস্তাব রাখা হবে। বাংলা এবং অসম মিলিয়ে চা বলয়ের যে সব এমপি আছেন, তাঁরা একত্রে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তী বলেন, দেশজুড়ে চায়ের উৎপাদন কমার পিছনে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তো আছেই। সঙ্গে চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার বিশেষ করে কেন্দ্রের যতটা এগিয়ে আসা দরকার ছিল, তা হয়নি।