সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন জানাচ্ছে, তাদের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৮ হাজার। এই সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংগঠনের তরফে সদস্য সংগ্রহ অভিযানও চলছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ফেডারেশনকে আরও শক্তিশালী করতে চান সংগঠনের কর্তারা। ওই কারণে জেলা কমিটিগুলিতেও বিস্তর রদবদল করা হচ্ছে। এছাড়া রাজ্যের সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন শাখায় কমিটিগুলিকেও সাজা হচ্ছে নতুন করে। স্বাস্থ্যদপ্তরের শাখাতেও ফেডারেশনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা চলছে। নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। সরকারি কর্মচারীদের সক্রিয় রাখা এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচির প্রচারের বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ফেডারেশনের তরফে রাজ্যজুড়ে বিজয়া সম্মিলনির আয়োজন করা হয়। সেখানেও সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য। মানুষ যাতে সরকারের কাছ থেকে উপকৃত হন ও পরিষেবা পান, সেটা তাঁদেরকেই সুনিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনের এই বিস্তার পর্বে ফেডারেশনের কর্তারা একটি সম্মেলন করে আগামীর চিন্তাভাবনা ও বার্তাকে সুদূর প্রসারিত করতে চাইছেন। তবে কবে এই সম্মেলন হবে, তার আনুমানিক তারিখ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সবটাই আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। মানসবাবু জানান, সংগঠনের বিস্তার আমরা প্রতিদিনই করছি। তাতে কিছু স্থানে বাধা পেলেও অনেক জায়গা থেকে দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য, সরকারি কর্মচারী-বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধনকে আরও নিবিড় করে তোলা। ব্লক থেকে জেলা, জেলা থেকে রাজ্য, একটি সূত্রে সবাইকে গাঁথতে চাই আমরা।
ফেডারেশনের বক্তব্য, বাম সরকার ৩৪ বছর যাবৎ শুধু প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করেছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের লক্ষ্য, একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা এবং মুখ্যমন্ত্রীর গৃহীত প্রকল্পগুলির বাস্তব রূপায়ণ।
তবে সদস্যদের কাজকর্মের ক্ষেত্রে একটি কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনের রাজ্যের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, কোনোরকম লবি চলবে না। আমাদের সকলের লক্ষ্য একটাই—মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করা। আর সরকারি কর্মচারীদের উচিত, সৌজন্য বজায় রাখা ও নম্র হওয়া। সরকার-বিরোধী কাজকর্মের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখাও তাঁদের দায়িত্ব।