পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
গত ১৯ নভেম্বর মার্কুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নেয় সেলিম। সেখানে নথি হিসেবে আধার বা ভোটারের বদলে জমা করে পাসপোর্টের ফটোকপি। তাতে নাম লেখা, রবি শর্মা। ঠিকানা রাজস্থানের। সঙ্গে ছিল মনোজ। সে-ও পাসপোর্ট জমা দেয়। তা দেখে সন্দেহ হয় হোটেল কর্তৃপক্ষের। ভারতীয় হলে মার্কুইস স্ট্রিটে হোটেল ভাড়া নিল কেন ‘রবি’রা? তাও আবার পাসপোর্টের নথির ভিত্তিতে? গত ২৬ নভেম্বর হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যায় দু’জনই। এরপরেই সূত্র মারফত খবর পায় পুলিস। পাসপোর্টের তথ্য খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা যায়, সেই পাসপোর্টের সঙ্গে দেওয়া জন্মতারিখ, স্কুল, আধারের তথ্য সবই ভুয়ো। এরপরেই শুরু হয়ে তল্লাশি। পুলিস জানতে পারেন, মার্কুইস স্ট্রিট এলাকারই অন্য একটি হোটেলে কাজ জুটিয়ে নিয়েছে ‘রবি শর্মা’। গ্রেপ্তারির পর প্রাথমিক জেরায় ‘রবি’ জানায় তার আসল পরিচয়—বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুর জেলার কালকিনে থানার ধাজি গ্রামে। সে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) কর্মী। কিন্তু ওপারের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে হঠাৎ ভুয়ো নথি নিয়ে এপারে লুকিয়ে কেন এই বাংলাদেশি? এ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে নদীয়া সীমান্ত দিয়ে এদেশে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে সেলিম। সেই সময়ে তাকে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে অভিষেক নামে এক দালাল। সে-ই যাবতীয় জাল ভারতীয় নথি তৈরি করে দেয় সেলিমকে। নদীয়ায় কয়েকদিন ভাড়ায় ছিল সে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পার করা ৭-৮ জন বাংলাদেশিকে সে ‘শেল্টার’ দিয়েছিল। কিন্তু কেন? তবে কি কোনও বড় অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত এই অনুপ্রবেশকারী? নাকি কোনও জঙ্গি সংগঠনের হয়ে চরবৃত্তি করার জন্য আসা? কোনও সম্ভাবনাকেই ফেলে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। চলতি বছরের গোড়ায় দিল্লি চলে যায় সেলিম। ডেরা বাঁধে সোনিয়াবিহারে। সেখান থেকে সরাসরি কলকাতায় ফিরেই হোটেলের কাজ নেয়। দু’বছরের মধ্যে কেন তিনবার বাসস্থান বদল? লালবাজার সূত্রের দাবি, অভিযুক্তের কথায় বিস্তর ধোঁয়াশা রয়েছে। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় সেলিম মাতব্বরকে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।