পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
এবারই প্রথম রাজ্যের পাঁচটি অভয়ারণ্যে কেঁচোর জীববৈচিত্র্য সমীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। ডঃ শকুর আহমেদ ও ডঃ এন মারিমুত্থু যৌথভাবে এই সমীক্ষা চালান। চারটি অভয়ারণ্যে কোনও না কোনও বিদেশি প্রজাতি খুঁজে পেয়েছেন মারিমুত্থু। গোটা রাজ্যে তিনি ন’টি বিদেশি প্রজাতির কেঁচোকে সূচক হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। সেগুলি চারটি অভয়ারণ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে এর মধ্যে রয়েছে ইতিবাচক দিকও। রায়গঞ্জের কুলিক অভয়ারণ্যে কোনও বিদেশি প্রজাতির কেঁচো নেই। শুধু তাই নয়, ২২টি দেশীয় প্রজাতির কেঁচো নিয়ে সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্য রয়েছে এই অভয়ারণ্যে। এটি পিছনে ফেলেছে বেথুয়াডহরি, বল্লভপুর, বিভূতিভূষণ এবং রামবাগান অভয়ারণ্যকে।
এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন জেডএসআই-এর অধিকর্তা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কৃষিকাজের জন্য কেঁচো সার তৈরির সময় দেশীয় তথা স্থানীয় প্রজাতি ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি হয় বিদেশি প্রজাতির কেঁচো দিয়ে। এর ফলে কৃষি ক্ষেত্রে প্রবেশ করে কেঁচোর এই হানাদার প্রজাতিগুলি। তারা স্থানীয় প্রজাতির কেঁচোর সংখ্যা কমিয়ে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করে।