পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কর্মকর্তাদের দাবি, মিউজিয়ামের সংরক্ষণ ও দেখভালের দায়িত্বে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। মিউজিয়ামে যেমন ঐতিহাসিক সামগ্রী আছে তেমনই ভবনটিও ঐতিহাসিক। সে কালে ফরাসি শাসক দুপ্লের চন্দননগরে গঙ্গার ধারে নিজের বাসভবন তৈরি করিয়েছিলেন। সেই বাড়িটিই বর্তমানে মিউজিয়াম ভবন। ফরাসি ঔপনিবেশিক ইতিহাসে দুপ্লের নাম বিশেষভাবে চর্চিত। তাঁর ভবন সাবেক ফরাসি স্থাপত্যরীতির নিদর্শন। পরতে পরতে উপনিবেশীয় ইতিহাসের নানা সময়ের স্পর্শ। এ হেন ভবনের জরাজীর্ণ দশা রীতিমতো আর্শ্চজনক। মিউজিয়াম ডিরেক্টর বাসবী পাল বলেন, ‘বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। সমস্ত কথা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছে। তারাই ঐতিহাসিক মিউজিয়াম ভবনের দেখাশোনা করে। মিউজিয়ামের ছাদ ও দেওয়ালের অবস্থা খুবই খারাপ। অবিলম্বে সংস্কার করার প্রয়োজন। বহু ইতিহাস অনুসন্ধানী মানুষ, গবেষক প্রতিদিন আসেন। বহু বিদেশি সাবেক স্থাপত্য ও মিউজিয়ামের সামগ্রী দেখার জন্য আসেন। তাঁদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বেহাল দশার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে মাঝে একবার মিউজিয়াম বন্ধও রাখতে হয়েছিল।’ চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘মিউজিয়ামটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে আছে। ফলে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমাদের কাছে বিশেষ তথ্য নেই। তবে মিউজিয়ামটি চন্দননগরের মানুষের কাছেও একটি আবেগের জায়গা। আমরা অবিলম্বে ওই বিষয়ে খোঁজখবর নেব। পাশাপাশি আমাদের তরফে যা পদক্ষেপ করা সম্ভব তা করব।’
দীর্ঘসময় ফরাসি শাসন ছিল চন্দননগরে। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পরও চন্দননগরে ফরাসি উপনিবেশ বহাল ছিল। পরে গণভোটের মাধ্যমে ভারতভুক্তি ঘটে। সেই দীর্ঘ ইতিহাসের নানা তথ্য, নানা দস্তাবেজ, সনদ থেকে শিল্প-চারুকলার নিদর্শন রাখা আছে মিউজিয়ামে। আছে চন্দননগরকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ বিরোধিতা বা স্বাধীনতা আন্দোলনের, বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসও। সেই ঐতিহাসিক ভবনটিই এখন ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।