সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি শিবনাথ অধিকারী জানান, এই খুনের মামলায় আরেক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তার শুনানি চলছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। কিন্তু ইতিমধ্যে সে জামিন পেয়েছে। তার জামিন বাতিল করতে সরকার পক্ষ থেকে আলিপুর জজ কোর্টের ‘বিশেষ আদালতে’ আগামী সপ্তাহে পিটিশন করা হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ওই মামলায় চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। ৪ ডিসেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য আলিপুর পুলিস কোর্ট থেকে জেলা জজ আদালতে পাঠানো হবে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ আগস্ট রাতে আনন্দপুর থানা এলাকায় গাড়ির ভিতরে নৃশংসভাবে খুন হন নারকেলডাঙার বাসিন্দা রেহানা বেগম (৫৫) নামে এক মহিলা ও তাঁর ছোট নাতি। ২১ আগস্ট সকালে বাইপাস সংলগ্ন নোনাডাঙার কাছে এক ঝোঁপ থেকে উদ্ধার হয় মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ। পরে একটি স্থানীয় পুকুর থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ। ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের হোমিসাইড শাখা। প্রথমে গ্রেপ্তার হয় আরমান। সে ছিল মৃতা রেহানা বেগমের তিলজলা বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাকে জেরা করে গ্রেপ্তার করা হয় মৃতার গাড়ির নাবালক চালককে। অভিযোগ, সে এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত।
গোয়েন্দারা খুনের তদন্তে নেমে জানতে পারেন, বাড়িভাড়ার টাকা পাওনা নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, তদন্ত শেষ করে পুলিস দ্রুত চার্জশিট পেশ করে আলিপুর আদালতে। এই মামলায় ইতিমধ্যে একাধিকবার আলিপুর পুলিস কোর্টে ধৃত আরমানের জামিন খারিজ হয়। এদিন উচ্চ আদালত অর্থাৎ আলিপুর জেলা কোর্টও ধৃতের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল।