সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
১৫ নভেম্বর ভরসন্ধ্যায় নিজের বাড়ির বাইরে সুশান্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়। পিস্তল লক হয়ে যাওয়ায় রক্ষা পান বরো চেয়ারম্যান। সেই ঘটনার এক মাস আগে বিহারের পাপ্পু গ্যাংয়ের এক সদস্য শহরে আসে। রেকি করে। একইসঙ্গে চলছিল খুনের ব্লুপ্রিন্ট। সেই মোতাবেক তিলজলা এলাকারই এক দোকান থেকে আটটি কি-প্যাড ফোন কেনেন ওই ব্যক্তি। অন্যতম চক্রী গুলজার, যুবরাজ সহ ফেরার আততায়ীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছিল সেই মোবাইলের মাধ্যমেই। ধৃতদের মোবাইল ফোন ও সিডিআর ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিস সূত্রের দাবি, সেই সিডিআর থেকে নিজেদের মধ্যে ব্যবহার করা আটটি নম্বরের বাইরে কোনও ফোনেই বাইরের কোনও কল আসেনি। গত শুক্রবার ঘটনার পর একসঙ্গেই আটটি ফোনের সিম ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যায় বলে পুলিস সূত্রে খবর। সেই কারণে ফেরার অভিযুক্তদের এখনও ট্র্যাক করে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিস।
অন্যদিকে, যে স্কুটিটি চেপে সুশান্তকে খুন করতে এসেছিল বৈশালীর সুপারি কিলার যুবরাজ সিং ও ছোটু ওরফে ছোটকা, তার জন্যও ছিল আলাদা পরিকল্পনা। লালবাজার জানিয়েছে, যে নম্বরপ্লেট স্কুটিতে লাগানো ছিল, সেটি বৈধ অর্থাৎ রেজিস্টার্ড। বৈধ সেই স্কুটির রং, মডেল, কোম্পানি মিলিয়ে অন্য একটি স্কুটি জোগাড় করে গুলজার বাহিনী। সেটা চুরির স্কুটার। চোরাই সেই স্কুটার বসানো হয় বৈধ নম্বরপ্লেট। যাতে নম্বর ধরে খোঁজ করে বৈধ স্কুটার মালিকের কাছে পৌঁছে পুলিস বিভ্রান্ত হয়। এহেন পরিকল্পনা থেকেই পুলিসের অনুমান, সুশান্তকে নিকেশ করার ছক তৈরির পিছনে অত্যন্ত ক্ষুরধার কোনও মস্তিষ্ক রয়েছে। নেপথ্যে ফেরার পাপ্পু গ্যাংয়ের বেউর জেল ফেরত মিডলম্যান থাকলেও, এ শহরের কোনও বড় মাথা রয়েছে কি না, তাও খুঁজছে পুলিস। তদন্তকারীরা বলছেন, বেউর ফেরত সেই মিডলম্যান পুজোর সময়ে এসে খিদিরপুরের একটি হোটেলে উঠেছিল। এরপর গুলজারকে সঙ্গে নিয়ে কসবা ও রুবি মোড়ে সুশান্তর বাসস্থান, দপ্তর সহ বিভিন্ন জায়গায় কখন, কী করে তা নিয়ে খোঁজখবর চালায়, রেকি করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস জানতে পেরেছে, শুক্রবার হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে গুলজার একটি স্কুটারে চেপে সুশান্তের বাড়ি চক্কর কেটেছে। বুধবার গুলজারের বাড়ি তল্লাশিতে যায় পুলিস। সেখান থেকে কিছুই মেলেনি। ঘটনার আগের দিনই পুরো বাড়ির আসবাব থেকে শুরু করে যাবতীয় সরিয়ে দিয়েছে। সেদিনই বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় গুলজারের স্ত্রীও। এদিকে, বুধবার কলকাতা পুরসভায় গিয়ে মেয়র ফিরহাদের হাকিমের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন সুশান্ত। পরে সাংবাদিকদের জানান, ‘ব্যক্তিগত কথা হয়েছে। তা নিয়ে কিছু বলব না’। সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসেও যান কাউন্সিলার। ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন।