শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত। কোনও কোনও জায়গায় রাস্তার ধারে নর্দমা তৈরি হয়েছে, তবে তা রাস্তার থেকে উঁচু। ফলে রাস্তার জল নর্দমায় গিয়ে পড়ে না। ২০২২ সালে চাঁপাডাঙ্গা থেকে পিয়াসাড়া পর্যন্ত ৬.৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হয়। রাস্তার ধারে বোর্ডে লেখা, ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেরামতির দায়িত্বে থাকছে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা। পাঁচ বছরের জন্য মেরামতির খরচ বাবদ ধার্য রয়েছে ৩০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮০ টাকা। শীত বা গ্রীষ্ম, সারা বছরই এই রাস্তা খানাখন্দ আর জলে ভরা থাকে। আলু বীজের মরশুমে এই এলাকায় পাঞ্জাব থেকে বড় বড় ট্রাক আসে। ফলে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী যোগেশ্বর কোনার বলেন, আমার ৮০ বছর বয়স। বাম আমলে এই রাস্তার যেমন অবস্থা ছিল, এখনও তাই রয়েছে। কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই রাস্তার একদিকের অংশ তালপুর পঞ্চায়েতের, অন্য দিকটি চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। রাস্তা থেকে জল বেরনোর পথ নেই। ব্যবসায়ীরা রাস্তাতেই আবর্জনা ফেলে চলে যান। রাস্তার এক ধার কেউ কেউ শৌচালয় হিসেবেও ব্যবহার করেন। সর্বত্র বারে বারে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। সামনেই আলু বসানোর সময় আসছে। সেই সময় এই রাস্তায় লরি ছুটলে ধুলোর ঝড় উঠবে।
এ বিষয়ে চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রভাত চট্টোপাধ্যায় রাস্তার বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, জেলা পরিষদকে এই বিষয়ে বারে বারে জানানো হয়েছে। গত ৪ জুলাইও ই-মেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ দেবীপ্রসাদ রক্ষিত বলেন, এই রাস্তাটি জেলা পরিষদের অন্তর্গত নয়। ডব্লুবিএসআরডিএ এই রাস্তার দায়িত্বে রয়েছে। জেলাশাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থা সামান্য ইট ফেলে চলে গিয়েছে। আগামী দিনে এই রাস্তা মজবুত করে তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত একটি সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এই সময়সীমার মধ্যে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়তো সম্ভব হবে না। তবে দ্রুত ওই রাস্তাকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে।