শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ওই ছেলেরা কেউ পড় তৃতীয় শ্রেণিতে, কেউ আবার পঞ্চম শ্রেণিতে। তারা সদলবলে সকাল ১০টায় হাজির হয়ে যায় ধনেখালি বিডিও অফিসে। হাতে একটা কাগজ। তাতে লেখা রাজদীপ মুর্মু, রাহুল বাগ, রণজিৎ টুডু, অঙ্কুশ বাগ সহ কয়েকজনের নাম। তারা প্রতিদিন ফুটবল প্র্যাকটিস করে। বহু জায়গায় খেলতেও গিয়েছে। পুরস্কারও পেয়েছে কোনও কোনও জায়গা থেকে। তবে ফুটবলটি ফেটে যাওয়ায় এখন খেলা বন্ধ। কেনার টাকা নেই। অগত্যা এই শিশুদের মাথায় আসে, বিডিও অফিসে গিয়ে বলের জন্য দরবার করবে। রাজদীপ বলে, পুজোর সময় সবাই টাকা দেয়, সেই টাকা জড়ো করে তারা ফুটবল কিনবে বলে ভেবেছে। কাগজ হাতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা জানতে পারে, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি এদিন আসবেন না। তারা যখন বিরস বদনে বাড়ি ফেরার পথ ধরতে যায়, ঠিক তখনই এক পুলিস কর্মী এসে তাদের ডেকে নিয়ে যান থানায়। থানার বড়বাবু প্রসেনজিৎ ঘোষ তাদের খেলার প্রতি তাদের উৎসাহ দেখে একটি ফুটবল ও প্রত্যেককে একটি করে চকোলেট উপহার দেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ধনেখালি থানার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।