শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
তারকেশ্বর ব্লকের বালিগড়ি কলাপুকুর এলাকার বাসিন্দা অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম সরকার জানান, ২০২১ সালে তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি দোকানে আলাপ হয়েছিল তন্ময় দাসের সঙ্গে। সে নিজেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনভেস্টিগেশন অফিসার’ বলে পরিচয় দেয়। নীল বাতি বসানো গাড়ি ব্যবহার করত সে। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে কেরানির চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আমি সহ আরও বেশ কয়েকজন ওকে টাকা দিই। এরপর আমাকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। বেশ কয়েকবার আমাদের কয়েকজনকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়েও গিয়েছে। সেখানে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। আমাদের বলা হয়, বিভিন্ন দপ্তরে কী কাজ হচ্ছে, তা আড়ি পেতে শোনাই আমাদের ডিউটি। প্রতিমাসে ২৭ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা ছিল। আমাকে কোনও মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। সে বলত, ইউনিভার্সিটি আমাকে টাকা পাঠাচ্ছে, সেখান থেকে আমি তোমাদের টাকা দেব। যখন বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি, তখন আমি তার কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানাই। আর এরপর থেকেই আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিতে থাকে সে। তখন বাধ্য হয়ে তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ জানাই। বর্তমানে পুলিস হেফাজতে আছে অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু একজনের সঙ্গে নয়, আরও অনেকের সঙ্গে অভিযুক্ত এই ধরনের প্রতারণা করেছে। শনিবার তাকে তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে পুলিস হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পিছনে আরও বড় চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।