নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বরানগরবাসীর নিত্যদিনের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হতে ‘বিধায়ক কার্যালয়’ তৈরির কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন এলাকার নয়া এমএলএ। এই অফিসঘরের জন্য বাড়ির খোঁজ চলছে। এবার প্রকৃত অর্থে বরানগরের ঘরের মেয়ে হতে আরও একধাপ এগলেন বিধায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কোনও সমস্যায় কাউন্সিলারদের পাশাপাশি বিধায়ককেও সরাসরি জানাতে পারবেন শহরবাসী। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে কিউআর কোড। সেই কোড স্ক্যান করে গুগল সিটে সরাসরি বিধায়কের কাছে অভিযোগ ও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই অভিযোগ ঘরে বসেই জানানো যাবে। পার্টি অফিসে গিয়ে হত্যে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ২০১১ সাল থেকে বরানগরে শাসকদলের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। অথচ ২০২৪ সাল পর্যন্ত এখানে বিধায়কের কোনও স্থায়ী অফিস ছিল না। তৃণমূল সূত্রে খবর, পূর্বতন বিধায়ক বিভিন্ন কাউন্সিলারের অফিস, দলীয় কার্যালয় ও পুরসভায় বসতেন। উপ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর সায়ন্তিকা ঘোষণা করেছিলেন, বরানগরে স্থায়ী বিধায়ক কার্যালয় থাকবে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা উপস্থিত থাকবেন বিধায়কের প্রতিনিধিরা। যে কোনও সমস্যা নিয়ে মানুষ এলে তার সমাধান করা হবে। সেই কাজ ইতিমধ্যে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্রেফ বিধায়কের কার্যালয়ে এসে অভিযোগ নয়, এবার শহরবাসী বাড়িতে বসেই যাতে সমস্যা বা অভিযোগের কথা জানাতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে চলেছেন সায়ন্তিকা। একাংশের দাবি, অনেকেই বিপদে পড়ার আশঙ্কায় এলাকার মাতব্বরদের সামনে দাঁড়িয়ে বিধায়কের কাছে নালিশ করতে চান না। এবার আর সেই সমস্যা থাকবে না।
কীভাবে অভিযোগ জানানো যাবে? বিধানসভা এলাকার জন্য একটি কিউআর কোড তৈরি করা হয়েছে। তা ভার্চুয়ালি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় লাগানো হবে। কেউ অভিযোগ জানাতে চাইলে তিনি মোবাইলে স্ক্যান তা করবেন। তখন খুলে যাবে গুগল পেজ। সেখানে নিজের নাম, ঠিকানা দিয়ে সমস্যার কথা লিখে সেন্ড অপশনে ক্লিক করলেই বিধায়কের টিমের কাছে তা পৌঁছে যাবে। এরপর বিধায়ক বা তাঁর টিমের সদস্যরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন। আজ, মঙ্গলবার ওই কিউআর কোডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা। এই বিষয়ে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, এআইয়ের যুগ চলছে। আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। যুগের সঙ্গে আমাদেরও তাল মিলিয়ে এগতে হবে। কেউ সমস্যায় পড়লে যাতে ঘরে বসেই দ্রুততার সঙ্গে তা জানাতে পারেন, তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে দায়বদ্ধ। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে কোনও জায়গা থেকেই তাঁর সমস্যার কথা আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা দ্রুততার সঙ্গে তা সমাধানের চেষ্টা করব। নিজস্ব চিত্র