শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
বাগদা বিধানসভায় প্রায় ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। একসময় ‘মতুয়া গড়’ বাগদায় তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে বিজেপির প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। সেবার লোকসভা ভোটে বাগদার মানুষের ব্যাপক সমর্থন পায় বিজেপি। তাদের প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের সিএএ’র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনায়াসে মতুয়া-মন জিতে নেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও একই ইস্যুতে সাফল্য ধরে রাখে গেরুয়া শিবির। ২০২৪ সালে লোকসভার ফলাফলে দেখা গেল, বাগদায় সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ভোটে বাগদা বিধানসভা এলাকায় ২০ হাজার ৬১৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। এই অবস্থায় জয়ের ধারা ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরেই বিস্তর জলঘোলা হওয়ায় চাপ বেড়েছে পদ্ম-পার্টির। এদিকে, ভোট ঘোষণা হওয়ার পরই মতুয়াদের মধ্যে থেকে তৃণমূল প্রার্থী চেয়ে বাগদায় সভা করে মতুয়াদের একাংশ। তাদের দাবি মেনে নেয় তৃণমূল। ঠাকুরবাড়ির সদস্যাকে প্রার্থী করেই বাগদা পুনর্দখল করতে চাইছে তারা। এই আবহে বাগদায় তৃণমূলের মধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। একাধিক স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রার্থীপদের দাবিদার ছিলেন। তাঁদের কারও ভাগ্যে শিকে না ছেঁড়ায় তাঁরা দলের অন্দরে ও ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বলে খবর। সেই ক্ষোভ ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ প্রভাব ফেলবে কি না, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। আপাতত মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতেই তৎপর বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলি।