শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
রেলওয়ে মেল সার্ভিসে (আরএমএস) কাজ করতেন শঙ্করবাবু। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অবসর নিয়েছেন দু’বছর আগে। কর্মজীবনে ভালো কাজের জন্য রেলওয়ে মেল সার্ভিসে তাঁকে এক্সটেনশন দেওয়া হয়েছিল। শরীরে দু’টি স্টেন বসানো রয়েছে তবুও শঙ্করবাবু প্রতিদিন মেল নিয়ে যাতায়াত করতেন ট্রেনে। বাড়িতে রয়েছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বউমা। বড় ছেলে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। থাকেন ইন্দোরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বড় ছেলে, বউমা সহ আত্মীয়রা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন। ইন্দোর থেকে আসছেন ছোট ছেলে।
সোমবার বিকেলে শঙ্করবাবুর ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা বাড়ির নীচে বসে রয়েছেন। ফ্ল্যাটের ভিতরের ঘরে অঝোরে কেঁদে চলেছেন শঙ্করবাবুর বৃদ্ধা মা কাজলরানি দাস এবং স্ত্রী স্বপ্না দাস। সান্তনা দিচ্ছেন আত্মীয়রা। কিন্তু এই মৃত্যু শোক সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। শঙ্করবাবুর জেঠতুতো ভাই কুশল দাস বলেন, ‘রবিবার সকালে শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এনজিপি গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে ওই ট্রেনেই মেল নিয়ে ফিরছিলেন। বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন, ‘ফিরছি’। সকালে টিভিতে দেখি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফোন পেলাম। ওপারে কাঁদছিল সবাই। শুনলাম, দাদা আর নেই’
ট্রেনেই কেটেছিল যাঁর অর্ধেক জীবন, সেই ট্রেনই কেড়ে নিল একনিষ্ঠ এক রেলকর্মীর প্রাণ। সন্ধ্যা সাতটা ২০ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনে থামার কথা ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের। তার আগেই জীবন থামল শঙ্করবাবুর।