শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল মেয়র পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত হারে নয়া কর সংক্রান্ত এক নির্দেশিকা জারি করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে বলা হয়, ৫০০ বর্গফুট আয়তনের কম জায়গা নিয়ে ব্যবসা করলে কোনও ব্যবসায়ীকে জঞ্জাল অপসারণের জন্য বাড়তি কর দিতে হবে না। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল হোটেল, রেস্তরাঁ বা ইটিং হাউস। বাকি ৫০০ ফুট বা তার বেশি আয়তন যুক্ত হোটেল, রেস্তরাঁ, হাসপাতাল, নার্সিংহোম, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, ডায়গনস্টিক সেন্টার, শপিং মল ও মাল্টিপ্লেক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে। নির্দেশিকায় কলকাতা পুরসভা আরও জানায়, যদি কোনও প্রতিষ্ঠান মনে করে, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর নেওয়া হচ্ছে, সেক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো যাবে।
পুরসভার এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ক্যালকাটা হোটেলস, গেস্ট হাউসেস অ্যান্ড রেস্তরাঁ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যরা। সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে বর্জ্য করে আদায় সংক্রান্ত শর্ত আগে থেকে চাপানো যায় না। পুর আইনে এমন কোনও সংস্থান নেই। তাই ওই নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। পুরসভার তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, আইনের সংস্থান অনুযায়ী ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শেষে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখে আদালত ওই নির্দেশিকায় কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না। তবে পুরসভাকে তাদের বক্তব্যের পক্ষে হলফনামা জমা দিতে হবে। আপাতত প্রতিষ্ঠানগুলিকে পুরসভার ধার্য করা কর দিতে হবে। তবে মামলার গতি প্রকৃতির উপর কর বাবদ জমা দেওয়া অর্থের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা ও মামলাকারীর তরফে এবিষয়ে হলফনামা ও জবাবি হলফনামা জমা পড়েছে। শীঘ্রই মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, আইনের সবরকম সংস্থান মেনেই বর্জ্য কর সংক্রান্ত ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।