শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
বেহালা চৌরাস্তায় পথচারীদের এই অভ্যাস দীর্ঘদিনের। তাঁদের সচেতন করতে ট্রাফিক পুলিসের পক্ষ থেকে নানাবিধ চেষ্টা চালানো হলেও স্বভাবে বদল আসেনি। তাই এবার দুর্ঘটনা রুখতে অভিনব উদ্যোগ নিল লালবাজার। ডায়মন্ডহারবার রোডের এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে ‘মডেল ক্রসিং’ বানাতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিস। লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার আগেই পূর্তদপ্তরের কাছে এই মর্মে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ এবং তা গৃহীতও হয়েছে। বেহালার চৌরাস্তাকে মডেল ক্রসিং হিসেবে গড়ে তুলতে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হবে। পুলিস সূত্রে খবর, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় দরপত্র ডাকা যায়নি। এখন ভোট মিটে যাওয়ায় দ্রুত এই কাজ শুরু হবে।
এক আধিকারিক বলেন, ডায়মন্ডহারবার রোডে জনবহুল ও ব্যস্ত ক্রসিং হল বেহালা চৌরাস্তা। শুধু অফিস টাইমে নয়, সারাদিনই এই মোড়ে গাড়ি ও পথচারীদের ভিড় লেগেই থাকে। পুলিসের নিচুতলার কর্মীদের দাবি, ক্রসিংয়ের কাছেই রয়েছে বড়িশা হাইস্কুল, বিবেকানন্দ কলেজ (উইমেন)। ফলে সকাল ৭টা থেকেই এই এলাকায় পড়ুয়াদের আনাগোনা লেগে থাকে। বেলা বাড়লে বাড়ে অফিস যাত্রীদের ভিড়। দুপুরের দিকে কিছুটা চাপ কমলেও বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যস্ততার শিখরে ওঠে বেহালা চৌরাস্তা। এই মোড়ের উত্তরে তারাতলা, দক্ষিণে আমতলা। পুব দিকের রাস্তা চলে গিয়েছে টালিগঞ্জের দিকে। আর পশ্চিমের রাস্তা ধরে যাওয়া যায় সরশুনা, শকুন্তলা পার্কের দিকে। স্বভাবতই এই ক্রসিং দিনরাত ব্যস্ত থাকে। একারণেই বেহালা চৌরাস্তাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।
কী এই ‘মডেল ক্রসিং’? আদর্শ মোড় তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন? এনিয়ে কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বৈঠক করেন লালবাজারে। সেখানে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ এই ক্রসিং ব্যবহার করেন। সেকারণে ডায়মন্ডহারবার রোডে উত্তর ও দক্ষিণমুখী লেনের মাঝখানে তৈরি করা হবে একটি রিফিউজি আইল্যান্ড। অনেক সময় একটি লেন পার হতে না হতেই সিগন্যাল খুলে যায়। তখন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন পথচারীরা। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই রিফিউজি আইল্যান্ডে সিগন্যাল লাল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, থাকবে পথচারীদের জন্য পৃথক চ্যানেল। কেউই ইতস্ততভাবে রাস্তা পারাপার করতে পারবেন না। ঝাঁ চকচকে রোড মার্কিংয়ে জোর দিচ্ছে পুলিস। প্রয়োজনে লাগানো হতে পারে রেডিয়াম স্ট্রিপও। শুধু তাই নয়, এই ক্রসিংয়ে উন্নত সিগন্যালিং ব্যবস্থার উপরেও জোর দিচ্ছে পুলিস। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিসের ডিসি ট্রাফিক (সাউথ) অমিতকুমার সাউ বলেন, বেহালা চৌরাস্তা নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে। এর রেজাল্ট দেখে শহরের সব ব্যস্ত ক্রসিং এই মডেলে তৈরি করা হবে। শুধু চৌরাস্তা নয়, এরপর পুলিসের টার্গেট বেহালা ১৪ নম্বর ক্রসিং।