সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ
এদিকে, ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিসকে কঠোর হতে বলা হয়েছে। তবে এর পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের যোগ থাকার বিষয় নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বলেন, দেখছি। বারুইপুর থানা ও জেলা পুলিসের কর্তারা অবশ্য ঘটনার পর থেকে তৎপর হয়। থানার আইসি, এসডিপিও সহ একটি বিশাল টিম বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে মল্লিকপুর জুড়ে অভিযান চালায়। ওই ঘটনায় জড়িতদের বেশ কয়েকজনের নাম পায়। শুক্রবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি চলে। তাতে এদিন বিকেল পর্যন্ত শাহ আলম খান এবং ইমরান আলি মন্ডল নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বাড়ি মল্লিকপুরের গনিমাতে। এছাড়াও জড়িত অন্যদের খোঁজ চলছে। যদিও স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মূল চাঁইদের সকলে গা ঢাকা দিয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আধিকারিকদের খুনের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ভাঙচুর, লুটপাটের কেস রুজু করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগমা এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে লকডাউন ভেঙে সেখানকার মানুষ সারক্ষণ বাইরে জটলা করছিল। এমনিতে ওই এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এলাকার প্রবীণ মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে সেখান থেকেই বারুইপুর বিডিও অফিসে খবর দেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিডিও মোশারফ হোসেন, সহকারি বিডিও সায়ন্তন ভট্টাচার্য, সন্তোষ পাল, গৌতম দাসদের নিয়ে ওই এলাকায় যান। বুধবারও সেখানে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। মানুষকে বুঝিয়ে লকডাউন মানার ব্যাপারে সম্মত করেন। বৃহস্পতিবারও একই উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। গনিমাতে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে যখন বিডিও এবং তাঁর অফিসের সকলে জল খাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁদের চারপাশ দিয়ে রে রে করে লোকজন ধেয়ে আসে। বাঁশ ও লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আধিকারিকদের উপর। মাটিতে ফেলে মারা হয়। শুক্রবার এ নিয়ে বিডিও অফিসে সকলে ক্ষুব্ধ। নিগৃহীতরা জড়িতদের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন।